Home জাতীয় সরকার প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: জামায়াত

সরকার প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: জামায়াত

479
0

Logo Jamat 01
ঢাকা: সরকার দুষ্কৃতিকারীদের চিহ্নিত করার পরিবর্তে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দোষারোপ ও ঘায়েল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জামায়াতে ইসলামী। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এ অভিযোগ করেন।
এ সময় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি ও দেশব্যাপী ‘সরকারি নৈরাজ্য’ সৃষ্টির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ সব ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
জামায়াত সেক্রেটারি দাবি করেন, ‘সরকারের একগুয়েমি ও হঠকারিতার কারণে দেশে অব্যাহতভাবে হিংসাত্মক ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতৃবৃন্দ উস্কানিমূলক, আক্রমণাত্মক এবং জনগণের বুকে গুলি চালানোর ঘোষণা দিয়ে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন।’
তিনি দাবি করেন, সরকারের প্ররোচণায় অব্যাহতভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা ও জনগণের জানমালের ক্ষতি করার বিভৎস ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ধরে নিয়ে গুলি করে মানুষ হত্যা করছে।
ডা. শফিকুর বলেন, ‘চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে সাতজনকে অত্যন্ত নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। বরিশালের গৌরনদীতে দুজনকে এবং মিঠাপুকুরে যাত্রীবাহী বাসে হামলা চালিয়ে চারজনকে হত্যা করা হয়। আমরা এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে তদন্ত কমিশন গঠন করে দোষীদের সনাক্ত করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু বারবার আমাদের আহ্বানকে অগ্রাহ্য করে সরকার দুষ্কৃতিকারীদের চিহ্নিত করার পরিবর্তে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দোষারোপ ও ঘায়েল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
‘জনগণের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সন্ত্রাসী ও নাশকতা সৃষ্টির আন্দোলন বলে আখ্যায়িত করে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এসব হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করা হচ্ছে। পুলিশ, র্যা ব ও বিজিবির কড়া প্রহরার মধ্যে কি করে এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হয় তা এক বিরাট রহস্য। এর জবাব সরকারকে অবশ্যই দিতে হবে’ যোগ করেন জামায়াত সেক্রেটারি।
তিনি বলেন, ‘অতীতে কখনো কোনো স্বৈরশাসক গায়ের জোরে বা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। সরকারকে এ বাস্তবতা উপলব্ধি করতে হবে। সরকার যত দ্রুত এ সত্য উপলব্ধি করতে পারবে দেশ ও জাতির জন্য ততই মঙ্গল।’
ডা. শফিকুর বলেন, ‘চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশি-বিদেশি সব মহল সংলাপ ও নির্বাচনের মাধ্যমে সংকট নিরসনের আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু সরকার রাজনৈতিক আন্দোলনকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করার ঘোষণা দিচ্ছে অবিরত। তাদের মদদে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে।’
তিনি বলেন, জনগণ তাদের ভোটের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার ও জানমালের নিরাপত্তার জন্য আজ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে শামিল হয়েছে। কোনো ধরনের শক্তি বা বল প্রয়োগ করে জনতাকে নিবৃত করা যাবে না।
এ সময় দেশবাসী, গণতন্ত্রকামী জনতা ও দলীয় নেতাকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের এ আন্দোলন সফল না হওয়া পর্যন্ত ২০-দলীয় জোট ঘোষিত শান্তিপূর্ণ সকল কর্মসূচি সর্বাত্মকভাবে পালনের জন্য আহ্বান জানান জামায়াত সেক্রেটারি।

Previous articleআবারও ৫ দিনের রিমান্ডে মির্জা ফখরুল
Next articleরাজনৈতিক অস্থিরতায় মূল্যস্ফীতি বেড়েছে: পরিকল্পনামন্ত্রী