সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, অবৈধ বাকশালী সরকারের কোন ষড়যন্ত্রই সফল হবেনা। মুক্তিকামী জনতার ন্যায্য দাবীর কাছে অবৈধ সরকারকে হার মেনে পদত্যাগ করতে হবে। আওয়ামীলীগের ইতিহাস বাকশালের জঘন্য ইতিহাস, আওয়ামীলীগের ইতিহাস গনতন্ত্র হত্যার নিকৃষ্ঠ ইতিহাস। অতীতেও বাকশাল ও স্বৈরাচারী সরকারের স্থান বাংলার মাটিতে হয়নি। আওয়ামীলীগকেও ইতিহাসের লজ্জাজনক পরিনতি ভোগ করেই বিদায় নিতে হবে। জনগনের ভাষা বুঝতে ব্যার্থ হলে অসহযোগ আন্দোলনেই আওয়ামীলীগের কবর রচনা হবে। আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিকামী জনতা যেভাবে গর্জে উঠেছে জনতার বিজয় অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। দেশনেত্রীর বাসায় খাবার সরবারহ বন্ধ করে আওয়ামীলীগে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে যে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সুচনা করেছে তার জন্য ভবিষ্যতে জনতার আদালতের কাঠগড়ায় দাড়াঁতে হবে। ২০ দলীয় জোটের শান্তিপুর্ন কর্মসুচীকে দুর্বলতা ভেবে থাকলে আওয়ামীলীগ বোকার স্বর্গে বাস করছে।
শনিবার ২০ দলীয় জোট কেন্দ্র ঘোষিত দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসুচীর অংশ হিসেবে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি। মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন। মিছিলটি বাদ আছর নগরীর ঐতিহাসিক কোর্ট পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে জিন্দাবাজার পয়েন্টে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, অবৈধ আওয়ামী বাকশালী সরকার গোটা দেশকে শুধু একটি বৃহৎ কারাগারেই পরিনত করে ক্ষান্ত হয়নি, তারা দেশকে একটি ভয়ানক মৃত্যু উপত্যকায় পরিনত করেছে। অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর অনৈতিক ক্ষমতালিপ্সা দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। বাকশালীদের বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে তারা ক্ষমতা ছাড়ার ভয়ে দেশনেত্রীকে না খেয়ে মারার ষড়যন্ত্র করছে। কোন ষড়যন্ত্রই গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন দমাতে পারবেনা। বিজয় ছাড়া মুক্তিকামী জনতার আর রাজপথ থেকে সরে যাবেনা। আওয়ামীলীগের শুভবুদ্ধির উদয় না হলে কঠোর পরিনতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। অবৈধ সরকার শুধু গনতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি। তারা দেশকে ক্রমশই গৃহযুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। শুধু দেশবাসী নয়, গোটা বিশ্ব যখন সকল দলের অংশগ্রহনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবীতে অর্থবহ সংলাপের জন্য চাপ প্রয়োগ করছে। তখন অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী সহ ক্ষতিপয় কর্তাব্যাক্তিগন বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় থাকার হুঙ্কার দিচ্ছেন। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে দলীয় লাঠিয়াল বাহিনীর মত ব্যাবহার করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিচারবহির্ভুত হত্যার উৎসাহিত করার পরিনতি কারো জন্য মঙ্গলজনক হবে না। চলমান গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন দমাতে অবৈধ সরকার ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের গনগ্রেফতার ও বাসা-বাড়ী-অফিস-ব্যাবসা প্রতিষ্টানে তল্লাশীর নামে পুলিশী হয়রানী চালিয়ে আতংক সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে। অতীতেও যেমন বাকশালী ও স্বৈরাচারী সরকাররা মানুষ খুন, গুম, হত্যা, গনগ্রেফতার চালিয়ে তাদের লজ্জাজনক পরিনতি এড়াতে পারেনি। আওয়ামী অবৈধ সরকারও পারবেনা ইনশাআল্লাহ। জনতার দাবীর কাছে তাদেরকে নতি স্বীকার করে অবশ্যই বিদায় নিতে হবে।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব এম.এ হক, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল গাফ্ফার, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহমদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা: নাজমুল ইসলাম, আব্দুল জ্জবার তোতো, বিএনপি নেতা শফিকুর রহমান, এডভোকেট মুজিবুর রহমান, সালাউদ্দিন মামুন, লায়েছ আহমদ, রায়হান আহমদ, আব্দুল হাদী মাসুম, এডভোকেট মুমিনুল হক, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ লাকি, আব্দুল্লাহ আল মামুন সামুন, যুবদল নেতা আব্দুর রহমান, জয়নাল মিয়া, মোশতাক আহমদ, দিলওয়ার হোসাইন, রুহেল আহমদ, আজাদ মিয়া, ছাত্রদল নেতা মোবারক হোসেন তুহিন, সোহেল ইবনে রাজা, আলী আকবর রাজন, সুমন আহমদ বিপ্লব, আব্দুল বাছিত, জুনেদ আহমদ জাবেদ, খোকন ইসলাম, হাবীবুর রহমান, মিজান শেখ, সামাদ আহমদ আকাশ, মনোয়ার হোসেন, মামুনুল ইসলাম লেইছ, জিয়াউর রহমান, মোশাহিদ আলী, মখলিছ উদ্দিন, শাহজাহান আহমদ, ফখরুল ইসলাম, রাজু আহমদ, আব্দুর রহিম, হাশিম মিয়া, রফিক উদ্দিন প্রমুখ।