সিলেট লেখক ফোরাম আয়োজিত শেকড় সন্ধানী লেখক গবেষক চৌধুরী হারূন আকবর স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স ইউ.কে-এর সাবেক চেয়ারম্যান ড. ওয়ালী তছর উদ্দিন এমবিই বলেছেন, প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক হারূন আকবর ছিলেন একটি শিক্ষিত মার্জিত সংস্কৃতিবান পরিবারের সফল প্রতিনিধি। গঠনমূলক কাজে তাঁর সকল প্রয়াস ছিল ঋদ্ধ। নীতিনিষ্ঠ মানুষ হওয়ায় কথা ও কাজে ছিলেন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সত্যপ্রিয়তা ছিল তাঁর চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ভুলত্রুটি সহজভাবে স্বীকার করে নেওয়ার সাহস ও মানসিকতা ছিল প্রবল। ফলে তাঁর গ্রহণযোগ্যতাও সকলের কাছে স্বীকৃত। একজন দায়িত্বশীল প্রজ্ঞাবান মানুষের পরিচয় তিনি বহন করে গেছেন আজীবন। হারূন আকবর পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারবাহিকতায় আমাদের লোকসাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। সরকারি চাকুরিজীবী হয়েও তিনি লোকগবেষণার মতো কঠিন কাজে ব্যাপৃত ছিলেন। সদালাপী সজ্জন এই গবেষক আজ আমাদের থেকে অনেক দূরে।
ফোরাম এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি নাজমুল ইসলাম মকবুলের সভাপতিত্বে শুক্রবার সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ এর কনফারেন্স হলে স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কবি কালাম আজাদ বলেন, হারূন আকবর মূলত প্রাবন্ধিক হিসেবে সুধীমহলে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। তাঁর প্রবন্ধ-নিবন্ধের বিষয়বস্তু সিলেটের লোকসাহিত্য, লোকসংস্কৃতি ও ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে আবর্তিত।
সাংবাদিক কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী বলেন, হারূন আকবর শৈশব থেকেই সাহিত্যের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন। তাই কর্মজীবনের ফাঁকে ফাঁকে লেখালেখি এবং লোকসাহিত্য বিষয়ক প্রকাশনার অঙ্গনে তিনি অক্লান্ত কাজ করে গেছেন।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কর্নেল (অব.) সৈয়দ আলী আহমদ বলেন, শেকড়সন্ধানী সাহিত্যের পটভূমি রচনায় তিনি যথেষ্ট কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। তাঁর সমূহ লেখালেখি ছিল দলিল নির্ভর। সত্যের অনুসন্ধানে লিপ্ত থেকে জীবনভর কঠোর সাধনা করেছেন।
লেখক, গবেষক শাহ নজরুল ইসলাম বলেন, একজন জনপ্রিয় লেখকের গুণাগুণ তাঁর লেখায় ও চরিত্রে বিদ্যমান ছিল। যারা কম লিখে যথেষ্ট সুনাম, যশ, খ্যাতি পেয়েছেন তাঁদের একজন হলেন হারূন আকবর।
সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বশির উদ্দিন বলেন, সহজ প্রকৃতির মানুষ হয়েও সর্বত্র নন্দিত লেখকের সম্মান পেয়েছেন নির্মোহ মানুষ হারূন আকবর।
ফোরামের কার্য নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ লুৎফুর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, অধ্যক্ষ কবি কালাম আজাদ, সাংবাদিক কলামিস্ট আফতাব চৌধুরী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ আলী আহমদ, লেখক গবেষক শাহ নজরুল ইসলাম, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বশির উদ্দিন, দৈনিক জালালাবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আজিজুল হক মানিক, সিলেট লেখিকা সংঘের সভাপতি কবি সালমা বখ্ত চৌধুরী, সিলেট সংস্কৃতি কেন্দ্রের পরিচালক জাহেদুর রহমান চৌধুরী, কবি শাহাদাত আলিম, কবি নাজমুল আনসারী, অলংকারী ইউনিয়ন ওয়েলফেয়ার এন্ড ডেভোলপমেন্ট ট্রাস্ট ইউ.কে-এর চেয়ারম্যান এম. এ. মল্লিক আহমেদ, লেখক ও প্রকাশক বায়েজীদ মাহমুদ ফয়সল, জগন্নাথপুর উপজেলা সমাজকল্যাণ সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন, মকসুদ হোসেন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক আ.ফ.ম. সাঈদ, গল্পকার সেলিম আউয়াল, কবি মুহিত চৌধুরী, অধ্যাপক আব্দুর রহিম, মোছাদ্দেক হোসেন, জুবায়ের হোসেন, কামাল হোসাইন, ফোরামের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ফখর উদ্দিন প্রমুখ। শুরুতেই পবিত্র কালামে পাক থেকে তেলাওয়াত করেন হাফিজ জোবায়ের হোসেন। সমাপনীতে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা শাহ নজরুল ইসলাম। (বিজ্ঞপ্তি)
Good
Comments are closed.