ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড নিয়ে শেখ সেলিমের বক্তব্যে শরিকদের মধ্যে ফাটল ধরানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে জাসদ যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল তা নাকচ করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, ইতিহাস বড় নিষ্ঠুর। কেউ কেউ নির্মম ইতিহাসকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কেউ কেউ ১৪ দলীয় জোট ভাঙার চেষ্টা করছে। কিন্তু ১৪ দলীয় জোট আদর্শিক। ইতিহাস ইতিহাসই। তাই জোট ভাঙার কোনো সুযোগ নেই। বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ সেলিমের বক্তব্যে জাসদের বিবৃতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, স্বজন হারানোর ব্যথা নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল জাসদ। এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জাসদ বিবৃতি দিয়েছে। কী দুর্ভাগ্য ও দুঃখজনক। যেখানে বলা হয়েছে বিএনপির সুরে শেখ সেলিম কথা বলেছেন। শেখ সেলিমের বক্তব্যের পর তার সম্পর্কে এ ধরনের কথা বলা দুঃখজনক। কেউ যদি বঙ্গবন্ধুর পরিবার নিয়ে কটাক্ষ করে তাদের কোনোভাবেই জাতি ক্ষমা করবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলতে গিয়ে হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড কোনো সাধারণ ব্যাপার ছিল না। একাত্তরের পারাজিত শক্তি ও স্বাধীনতাবিরোধীরাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে চরম প্রতিশোধ নিয়েছে। খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের এজেন্ট। আর তারই স্ত্রী খালেদা জিয়াও পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার পুত্র তারেক রহমানও একই ভাবে কাজ করছে। খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে।
‘বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার স্থপতি’ বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খানের এমন বক্তব্যের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে হানিফ বলেন, এটার জন্য তাকে ধন্যবাদ। তবে এটা বলতে দেরি কেন? সংগঠনের সভাপতি মো. সফিউল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।