অনিবন্ধিত সিম ৩০শে এপ্রিলের পর বন্ধ করে দেয়া হবে

0
869
blank
blank

ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, যেসব সিম এখনও বায়েমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন করা হয়নি সেগুলো আগামী ৩০শে এপ্রিলের পর দুই এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেয়া হবে। বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অবশ্য সিম ব্যবহারকারীর নাম, নিবন্ধন করার পর আবার তা ব্যবহার করতে পারবেন। এই প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, আসল সিম ব্যবহারকারীর নাম ঠিকানা শনাক্ত করার জন্যই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। ৩০শে এপ্রিলের মধ্যেই সব ধরনের বায়েমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের কাজ শেষ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামে এরিকসন বাংলাদেশের কার্যালয় উদ্বোধন করতে আসেন এক সময় সংস্কৃতি অঙ্গনের পরিচিত এই মুখ। এই সময় তিনি প্রতিষ্ঠানটির ইন্টারনেট অব থিংস বা আইওটি পোর্টালেরও উদ্বোধন করেন। এই সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত সিমের তথ্য এনআইডিতে যাচ্ছে। অন্য কোথাও সংরক্ষিত হবে না। আমরা অনেক কম দামে আরো ইন্টারনেট দেয়ার কিছু পরিকল্পনা নিয়েছি। বর্তমানে সেগুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

‘বিটিআরসি ও টেলিটকের মানোন্নয়নে সরকার কী ভাবছে?’- এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেলিটককে প্রতিযোগিতামূলক বাজারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। তাদের সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। রিটেইলার বাড়ানো হয়েছে। এক সময় ইনিশিয়েটিভ ইনভেস্টমেন্ট কম ছিল। এখন বাইর থেকে সফট লোন নেয়ার চিন্তাভাবনা করছি।

তিনি আরও বলেন, টেলিটকের নেটওয়ার্কের দিকে নজর দেয়া জরুরি। টু পয়েন্ট ফাইভ জি, থ্রি জি সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ চলছে। অনেক কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। আশা করছি মানুষের আরো আস্থার জায়গায় যাবে টেলিটক।
তারানা হালিম ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ধারণাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলার মডার্ন ভার্সন বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কেবল আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারেই নয়, সেটাকে বাস্তবে নিয়ে যেতে নানা প্ল্যান নিচ্ছি আমরা।

অনুষ্ঠানে তারা হালিম ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত ইওহান ফ্রিজেল, এরিকসন বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজ প্রমুখ।

বর্তমান বিশ্বের ১৮০ দেশে এরিকসনের প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার পেশাজীবী কাজ করছেন। গ্রাহকদের জন্য উদ্ভাবনী প্রযুক্তি নিয়ে তারা গবেষণায় বিনিয়োগ করে যাচ্ছে। এরিকসন ১৮৭৬ সালে সুইডেনের স্টকহোমে প্রতিষ্ঠা হয় বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।