অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে: অর্থমন্ত্রী

0
840
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা কমানো হবে। আমরা মনে করছি দাম একটু কমালে অর্থনীতি আরেকটু শক্তিশালী হবে। তবে এ ব্যাপারে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা আলোচনা করব। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলব। কাগজপত্র প্রস্তুত করছি।’

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।

এ সময় বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তান টাকা পাবে কি না, এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রী বলেন, ‘এই ব্যাপারে মন্তব্য করার প্রয়োজন নেই, সাচ এ ননসেন্স, স্টুপিড।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে যখনই আলোচনা হয়, তখন আমাদের ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়।’

কী পরিমাণ ক্ষতিপূরণ আমাদের পাওয়া উচিত এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরাসরি এখন বলা যাচ্ছে না। পাকিস্তানকে আমরা আগেই বলেছি, সব দেওয়ার সামর্থ্য তোমাদের নেই। বাংলাদেশ এখন তাদের চেয়ে অনেক ভালো আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের তুলনা করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’

বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ৯২১ কোটি পাকিস্তানি রুপি (৬৯২ কোটি বাংলাদেশি টাকা) পাওনা রয়েছে এবং পাকিস্তান তা ফেরত চায় বলে পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একাত্তরের আগে পূর্ব পাকিস্তানের কাছে পশ্চিম পাকিস্তানের যে অর্থ পাওনা ছিল, তা বর্তমানে ৭০০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। অ্যাসেট ভ্যালুয়েশনের মাধ্যমে প্রকৃত পাওনা নিরূপণ করা হয়েছে। অ্যাসেট ভ্যালুয়েশন হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে চলতি বাজারে সম্পদের মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। এর সূত্র ধরেই অর্থমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করা হয়।

বৈঠকে আইএমএফ মিশনের নতুন প্রধান ব্রায়ান এইটকেনসহ আট সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। বৈঠকের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ‘আইএমএফ মিশনের নতুন প্রধানের সঙ্গে একটি পরিচয় পর্ব হলো। আইএমএফের সঙ্গে মূলত আলোচনা হবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে’।

আইএমএফের নতুন কোনো কর্মসূচিতে বাংলাদেশ যোগ দেবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘না, তার কোনো সুযোগ নেই, কারণ আমাদের ব্যালান্স অব পেমেন্ট এখন অনেক বেশি।’