অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ধমকালেন ট্রাম্প

0
970
blank
blank

ঢাকা: না, এখন আর তিনি চোখ ধাঁধিয়ে দেয়া ব্যবসার কোনো রিয়েল এস্টেট সংস্থার মালিক নন! না, এখন আর তিনি কোনো টেলিভিশনের হইচই ফেলে দেয়া রিয়্যালিটি শো’য়ের হল্লা বাধিয়ে দেয়া প্রেজেন্টারও নন! তিনি এখন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। বিশ্বের সামনের সারির দেশগুলোর একটির কর্ণধার। চিফ এক্সিকিউটিভ।
নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ওই কথাগুলি মনে করিয়ে দেয়ার জন্য এখন কেই-বা আছেন, যিনি ‘বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবেন’?
তাই ‘জ্যাকেট’ বদলালেও, তার বরাবরের আচার-আচরণ, আদবকায়দার ‘স্টাইল’ বদলাননি নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তোড়পে কথা বলেন, কথায় কথায় ‘দেখে নেব’ গোছের শাসানি দেন! আর প্রায় প্রতি সেকেন্ডেই শ্রোতাকে মনে করিয়ে দেন, ‘কীভাবে জিতে এলাম, দেখে নিন’! পাল্টা মতামতকে মান্যতা দেন না! অন্যের পছন্দ-অপছন্দকে তেমন পরোয়াও করেন না। পছন্দ না হলেই ধপাস্ করে নামিয়ে রাখেন টেলিফোনের রিসিভার, বা কেটে দেন মোবাইলের লাইন।

তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টও। যার ‘দুর্ব্যবহার’, থুড়ি, ব্যবহারের ‘বাহারে’ হালে চমকে গিয়েছেন দু’-দু’টি দেশের প্রেসিডেন্ট। একজন- আমেরিকার দীর্ঘ দিনের বন্ধু দেশ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল। অন্যজন- মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিকে পিয়ে নিয়েত্তো। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর রীতিমাফিক টেলিফোন করতে গিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানকেই কার্যত, ধমকেছেন ট্রাম্প! বুঝিয়ে দিয়েছেন, সে তিনি কোনো রাষ্ট্রপ্রধান হোন বা তার রিয়েল এস্টেট সংস্থার অধীনস্থ কর্মী, কোনো বাছ-বিচার না করে তিনি তার নিজস্ব কেতাতেই কথা বলতে ভালোবাসেন। আর সেটাই তার ‘ট্রাম্প-কার্ড’! তাই দুই রাষ্ট্রপ্রধানকেই টেলিফোনে ট্রাম্প মনে করিয়ে দিয়েছেন, কী বিপুল মার্জিনে তিনি জিতেছেন ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট। যেন বলতে চেয়েছেন, এই কেতাতেই সেটা সম্ভব করে তুলতে পেরেছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বোঝা টানতে টানতে হাঁফিয়ে পড়েছে আমেরিকার অর্থনীতি। তার ফলে, প্রত্যাশামাফিক বাড়ছে না জিডিপি’র হার। তাই আমেরিকায় শরণার্থী অনুপ্রবেশের ওপর জারি করেছেন নিষেধাজ্ঞা। টেলিফোনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টার্নবুলের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তাকে রীতিমতো ধমকিয়ে ট্রাম্প বলে দেন, ‘‘আপনার শরণার্থীদের বোঝা আর টানতে পারব না।’’ টার্নবুল বোঝাতে চেয়েছিলেন ট্রাম্পকে, ‘‘আমাদের (অস্ট্রেলিয়া) কিছু শরণার্থীর থাকার বিষয়টা যদি আপনি একটু ভাবেন…’’ টার্নবুলকে থামিয়ে দিয়ে সেই সময় ট্রাম্প বলে ওঠেন, ‘‘আপনার লোকজন আমার দেশে ঢুকে আরেকটা বস্টন-কাণ্ড ঘটাবেন নাকি!’’ বলা হচ্ছে, তিনি কথা শেষ না করেই ফোনও রেখে দিয়েছেন। একইভাবে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টকেও ট্রাম্প অপমান করেছেন।