আইন শৃংখলা বাহিনী তৎপরতায় জঙ্গীবাদ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

0
465
blank

ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থার ফলে দেশে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনী তৎপর থাকার ফলে দেশে সন্ত্রাসবাদ এবং জঙ্গীবাদ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। ফলশ্রুতিতে দেশের জনগন ও দেশে অবস্থানরত বিদেশী নাগরিকগণ সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা বাণিজ্যসহ তাদের দৈনন্দিন কর্মকান্ড পরিচালনা করছে।  সংসদে প্রশ্নোত্তরে আজ রহিম উল্লাহর (ফেনী-৩) এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী একথা বলেন। প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, সব ধরণের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, নাশকতা ও সহিংসতার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে ও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকার পুলিশসহ সকল আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা সমুহকে নির্দেশ প্রদান করেছে এবং তদ্অনুযায়ী পুলিশ ও অন্যান্য আইন শৃুংখলা রক্ষকারি বাহিনী পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

দেশে ৯১০ অবৈধ বিদেশী নাগরিক : বেগম পিনু খানের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, ইমগ্রেশন ডাটাবেজ অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে ১ লাখ ১২হাজার ৪৮৫জন বিদেশী নাগরিক চাকুরিরত আছে। তন্মধ্যে ৯১০ জনের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। স্পেশাল ব্রাঞ্চে অবৈধ বিদেশীদের তালিক সংরক্ষিত আছে। অবৈধ বিদেশীদের সনাক্তকরণের জন্য প্রতিদিনই স্পেশাল ব্রাঞ্চসহ আইন শৃংখলা রক্ষকারি বাহিনী বিশেষ অভিযান অব্যাহত আছে।অবৈধভাবে চাকুরিরত বিদেশীর সন্ধ্যান পেলে তাৎক্ষনিকভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।
২০ হাজার ৬৫৬ জন ভারতীয় নাগরিক: জাতীয় পার্টির এ কে এম মাঈদুল ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে ২০ হাজার ৬৫৬ জন ভারতীয় নাগরিক অবস্থান করছেন। ভারতীয় নাগরিকরা এদেশে বিনিয়োগকারী, বিভিন্ন সংস্থা/কারখানা ও উন্নয়ন প্রকল্প এবং বিদ্যুত সেক্টরে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়াও কিছু ভারতীয় নাগরিক চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত রয়েছে।
মাদক চোরাচালানে আধুনিক প্রযুক্তি : নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মাদক চোরাচালানে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হচ্ছে। ইয়াবা পাচারকারিসহ অন্যান্য মাদক অপরাধীরা গ্রেফতার এড়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত কৌশল পরিবর্তন করছে। আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে তাদের কৌশল ধরা পড়লে পরবর্তিতে তারা নতুন কৌশল ব্যবহার করছে।

তিনি জানান, মাদক ব্যবসায়ীরা বিশ্বের সর্বত্র প্রভাবশালী, তারা বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক, অবৈধ অস্ত্রধারী বা তার পৃষ্ঠপোষক এবং আন্ডার ওয়াল্ডের নিয়ন্ত্রক হয়ে থাকে। এরা মাদক পাচার/ব্যবসায় আধুনিক প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে থাকে। এদেরকে মোকাবিলায় মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরকে আধুনিক প্রযুক্তিতে আপডেট রাখার কোন বিকল্প নেই।
মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীর প্রতিটি থানায় গঠিত কমিউনিটি পুলিশের কোন কমিটিতে স্থানীয় সন্ত্রাসী, চিহ্নিত অপরাধী ও আশ্রয় প্রশ্রয় দানকারির অর্ন্তভূক্তির তথ্য পাওয়া যায়নি। এরপরও এ ধরনের কোন লোক যাতে কমিটিতে অর্ন্তভূক্ত হতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বজলুল হক হারুনের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানান, প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা সুনির্দিষ্ট হওয়ায় বিদেশি ট্রলার, নৌকা ও মঝিদের বাংলাদেশের জলসীমা ও সুন্দরবনের শেষ সীমানার ভিতর প্রবেশ করে মাছ শিকারের কোন সুযোগ নেই।

সুন্দরবনের শেষ সীমানায় অবৈধ মৎস্য শিকার শূণ্যের কোটায় নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জলসীমানায় বিদেশি জেলেদের যেকোন ধরনের অবৈধ তৎপরতারোধে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী তৎপর হয়েছে।