আওয়ামী লীগ কথা দিলে কথা রাখে: প্রধানমন্ত্রী

0
601
blank
blank

বাঙালির অর্জন সবই আওয়ামী লীগের শাসনামলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাই হয়েছিল বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য। আওয়ামী লীগ সবসময় কাজ করেছে সাধারণের জন্য। রাজনীতি সঠিক হলে এবং দেশের কল্যাণে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করলে দেশের উন্নয়ন হয় এটি প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ কথা দিলে কথা রাখে।

শনিবার আওয়ামী লীগের ৬৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে গণভবনে দলের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অর্থনৈতিক নীতিমালাকে সময় উপযোগী করেছে আওয়ামী লীগ সরকার জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ এর পর এদেশের ক্ষমতা ছিল ক্যান্টনমেন্টে বন্দী। রাজনীতি জনগণের কল্যাণে না হলে তা দিয়ে জনগণের জন্য কিছু করা যায় না। ক্ষমতা নিজেদের ভোগ দখলের জন্য না।

ভোটের রাজনীতি করতে হলে উন্নয়নের কথা জনগনের সামনে তুলে ধরতে হবে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, দুর্নীতিবাজদের দলে রাখার জন্য দলের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে বিএনপি নিজেদের দুর্নীতিবাজ দল হিসেবে প্রমাণ করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস জাতির পিতার ইতিহাস। বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি পদচারণা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে। তিনি ঝুঁকি নিয়ে আমাদের স্বাধীনতার পথ দেখিয়েছেন। যুদ্ধ শেষে জাতির পিতার অনুরোধে মিত্রবাহিনী ফেরত নিয়েছিল ভারত। যা পৃথিবীর আর কোন দেশে এমন মিত্রবাহিনী ফেরত নেয়ার ঘটনা ঘটেনি। প্রথম শাসনতন্ত্র, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা, বাংলাদেশের স্বাধীনতাসহ দেশের প্রতিটি অর্জনের সঙ্গে মিশে আছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, যারা অন্যদলের লোকজনকে দলে ভেড়াচ্ছেন তারা মনে রাখবেন, যাদের দলে ভেড়াচ্ছেন তারা আপনার আপন লোক নয়। এরা মামলা থেকে বাঁচতে অথবা মধু খাওয়ার জন্য দলে ভিড়ছে। এরাই কিন্তু আপনাকে খুন করে দলের বদনাম করবে। সুতারাং ওদের সম্পর্কে সচেতন থাকুন। ওরা কোনোদিনই আপনাদের আপন হবে না। দলের যে লোকজনকে আপনারা অবহেলা করছেন তারাই আপনার আপন লোক।

তিনি আরো বলেন, যাকে প্রার্থী করা হবে তার পক্ষেই কাজ করতে হবে। প্রার্থী পছন্দ হোক আর না হোক নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে। নির্বাচনে জনগণ ভোট দেবে। জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে যেন ছিনিমিনি খেলা না হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, মাত্র সাড়ে তিন বছরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছেন। তার পরে তাকে হত্যা করা হলো। পরিবার হারিয়ে আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে আমার পরিবার। এখানে আমি বাবা-মায়ের আদর ও ভাইবোনের ভালোবাসা পেয়েছি।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, একজন রাজনীতিবিদের চিন্তা ভাবনা থাকবে কীভাবে আমরা মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারি। নিজের ভাগ্য নয়, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনেই আমাদের কাজ করতে হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সব সদস্য, জেলা, উপজেলা, মহানগর, পৌরসভার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, দলীয় এমপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ চার সহস্রাধিক প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন ৷

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এ বর্ধিত সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সভায় দলের নেতাকর্মীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশনা দেবেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।