আকস্মিক ঝড়ে রাজধানীসহ সারাদেশে নিহত ৮

0
739
blank
blank

ইফতারের পর পরই ঝড় ও বৃষ্টিতে একাকার রাজধানী। ঝড়ে রাজধানীর বায়তুল মোকারমে প্যান্ডেল ভেঙ্গে এক মুসুল্লী নিহত হয়েছেন। এঘটনায় ১৫ জনের মত আহত হয়েছেন। নিহতের নাম শফিকুল ইসলাম (৩৫)।

এছাড়া উত্তর বাড্ডায় দেয়াল ধসে তিনজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে বুলবুল বিশ্বাস (২৭) ও তপন (২৮) এই দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। বুলবুল বিশ্বাস নড়াইলের নরাগাথী থানার মহাজন এলাকার বাসিন্দা। তিনি ঢাকায় বাসের চেকার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আর তপন নীলফামারীর বাসিন্দা, বাড্ডা এলাকায় উনার চায়ের দোকানদার।

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, মধ্যবাড্ডায় প্রাণ সেন্টারের পাশে একটি দেয়াল ধসে তিনজন আহত হয়। এর মধ্যে ২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ও একজনকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে তিনজনই নিহত হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।

রাজধানীতে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে গাড়ি চালনার সময় গাছের ডাল ভেঙ্গে আহত হয়েছেন কয়েকজন মোটর সাইকেল ও রিকসাওয়ালা ও যাত্রী। বৃষ্টির পানি রাস্তায় সাময়িকভাবে হাটু পানি হয়ে যায় এবং কিছু ডাল-পালা ভেঙ্গে রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঝড়টি ছিল তীব্র গতি সম্পন্ন। অল্প সময়ের মধ্যে সংঘটিত এ ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ৬৫ থেকে ৯৩ কিলোমিটার। মহাখালীর দিকে ৬৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় আঘাত হানলেও বিমান বন্দর এলাকায় ঝড়টির বেগ ছিল ঘন্টায় ৯৩ কিলোমিটার।

এদিকে নওগাঁর পোরশায় বজ্রপাতে শফিনুর বিষু (৩২) ও হাসান (৩০) নামের দু’জন ধান কাটা শ্রমিক নিহত এবং বুলবুল (৩২) নামে অপর একজন আহত হয়েছেন। শফিনুর গানইর গ্রামের আজাদের ছেলে এবং হাসান চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শীবগঞ্জ উপজেলার পাঠালীতলা গ্রামের মতিউরের ছেলে। আহত বুলবুল গানইর গ্রামের আব্দুল্লার ছেলে।

জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় তারা নিতপুর গানইর গ্রামের মালিপুকুর এলাকায় বোরো ধান কাটছিল। এ সময় হঠাৎ বৃষ্টির সাথে বজ্রপাত ঘটলে ঘটনাস্থলেই শফিনুর ও হাসান মারা যান এবং বুলবুল আহত হন। আহত বুলবুলকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পোরশা থানার ওসি শাহিনুর রহমান বজ্রপাতের ঘটনায় দু’ জনের মৃতুর কথা নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর এলাকায় বজ্রপাতে দুইজন নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত হজরত আলীর ছেলে রেজাউল হোসেন (৪০) ও মোতালেব হোসেনের ছেলে মো. মুসা (৩৫)। আহত হয়েছেন একই এলাকার হজরত আলী (৬০)। তাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ধানের জমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাত হলে রেজাউল ও মুসা ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় আহত হজরত আলীকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।