মোহাম্মাদ আনোয়ার শাহাদাৎ হোসেন: পয়েন্ট ১: যারা নিজেদেরকে নাস্তিক বলে দাবি করে এবং প্রকৃতিবাদের (naturalism) ধারক ও বাহক বলে প্রচার করে তারা নিজেরাও ভালো করে জানে সৃষ্টিকর্তা ছাড়া বিশ্বজগৎ সৃষ্টি সম্ভব নয়। কিভাবে সৃষ্টি হলো এর চেয়েও রহস্যের ও আশ্চর্যের বিষয় হলো যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি। বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলকে বিজ্ঞানমনস্ক সবাই চিনেন বলা চলে। নোবেল পুরষ্কারের প্রণেতা এবং নিজেও নোবেল জয়ী ছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি যে বস্তুটি আবিষ্কার করার কারনে বিশ্বময় পরিচিত হলেন, নোবেলজয়ী হয়েছেন সেটাকে কয়জনে চিনেন? হা, ডিনামাইট (বিষ্ফোরক) তৈরি করেছিলেন, কিন্তু এটা নিয়ে সর্বসাধারণেরর মধ্যে কৌতুহল কম, সব কৌতুহলের কেন্দ্রে ডিনামাইটের কারিগর আলফ্রেড। তাহলে আমরা তো নিজেদের অতীত ইতিহাস থেকে নিজেরাই শিখেছি যে, "সৃষ্টিকর্তাই বড়,, সৃষ্টি বড় নয় ""। তাহলে #আল্লাহ তাআলার ক্ষেত্রে কেন এত প্রশ্ন, কেন তাকে ছোট করে ভাবা হচ্ছে যখন তার সৃষ্টি নিয়ে এত কৌতুহল!!! এটা কি নিজ স্বার্থে সুবিধামত নিজের মত পরিবর্তন নয় কি!!!! এখন আমি যদি প্রশ্ন করি, কতজন নাস্তিক নোবেল পুরষ্কার লাভ করেছেন? জবাবে তেমন কাউকেই খুজে পাওয়া যাবে না (without exception), খোজ নিয়ে দেখুন যারা নোবেল পেয়েছে তারা সবাই নিজ নিজ ধর্মানুযায়ী সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী। তবে, বিকৃত বিশ্বাসের কারণে তারা কাফের ঠিক। তাহলে যে বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে নাস্তিকতা তত্বকে অনেকেই প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তারা কিংবা তাদের পূর্বসুরিরা বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষপূর্ণ মঞ্চে অনুপস্থিত। এটা কি হাস্যকর বিষয় নয়। আসলে তারাও সত্যটা বুঝে, কিন্তু বুঝেও বুঝে না যেমন দেখেও দেখে না অনেকে। এমন অনেক ভিক্ষুক আছে রাস্তা ঘাটে যারা চোখে দেখেও অন্ধ সাজে মানুষের ভিক্ষা পাওয়ার আশায়। কথিত নাস্তিকদের ক্ষেত্রেও তেমনটই ঘটে... পয়েন্ট ২ঃ এরা আসলে জন্মগতভাবে নাস্তিকতার জালে আটকায় নি, বরং অশিক্ষা - কুশিক্ষা, কুসংস্কৃতি এবং অসৎ সংগের কারণে শয়তানের ধোকায় পড়ে এমন কাল্পনিক জালে নিজেদের জড়িয়েছে। একটা মানুষ যখন আস্তে আস্তে বড় হয় তখন খাবার, পোশাক, বাসস্থান এগুলোর পাশাপাশি তার জ্ঞানার্জন ও সত্য শিক্ষার চাহিদা থাকে। তার চিন্তার দৌড় ত্বরান্বিত হতে থাকে। কিন্তু এই জ্ঞানের চাহিদা মেটাতে যে সত্যগুলো জানা দরকার সে সত্যগুলো সে জানতে পারছে না। এতে করে তার চিন্তাগুলো ধোকা ও মিথ্যায় জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। আর এক পর্যায়ে সে উপলব্ধি শক্তি হারিয়ে ফেলে। এই উপলব্ধি শক্তিহীনতা তাকে নাস্তিকতা বা প্রকৃতি তত্বের একটি নিষ্ঠুর গর্তে ফেলে দেয়। এই গর্তে যখন তার মত আরো অনেকে একই ভাবে মহাকালের অভিশাপে পড়ে তখনই তাদেরকে নিয়ে রাজনীতি ও আত্নপ্রতিষ্ঠা নীতির এক অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু করে কিছু স্বার্থান্বেষী। তাদেরই কয়েকজন ছিলো, #কাল_মার্কস , #লেলিনের মত নষ্টের গুরুরা। তারা সমাজতন্ত্র (communism) চালু করতে চায়, ভালো কথা। কিন্তু সমাজন্ত্র চালুর নামে যদি সে এমন কতগুলো বিষয় দাড় করায় যা সত্যের বিপরীত এবং সৃষ্টিকর্তা ও সৃষ্টিতত্বের বিপরীত হয় তবে সেটাতো মেনে নেয়া যায় না। আর, তাদের এসব স্বার্থান্বেষী ও আত্নপ্রতিষ্ঠার চাহিদা পুরনে ব্যবহৃত হচ্ছে সেসব অন্ধকার গর্তে পড়া মানুষগুলো যারা সত্য হানা ও চর্চা করার মত পরিবেশ পায় নি। কিন্তু আপনি মেহেরবানী করে ভালো করে খোজ নিয়ে দেখুন মিঃকাল মার্কস, লেলিন এরা কি সে সত্যটা জানতো না, সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে তারা জানতো না!!!! অবশব্যই জানতো। শুধু পাল্টাপাল্টি রাজনীতি ও আত্নপ্রতিষ্ঠার নেশায় আব্রাহাম লিংকনের গনতন্ত্র বা democracy তত্বের counter programming এর জন্যই সমাজতন্ত্র বা communism তত্বের সুচনা ঘটায়। নতুবা আব্রাহাম লিংকন ঠিকই ঈশ্বরকে (সৃষ্টিকর্তা) চিনতো , আর মার্কস, লেলিনরা বুঝি চিনতো না!!!! এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? মার্কসবাদীরা, আপনারাই বলুন আসলে কে কাকে চিনে, কে কাকে জানে!!!! বুঝার চেষ্টা করুন, মানুষ বলে পথটা চিনে, আসলে কি চিনে ????
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিব্বির আহমদ ওসমানী [এমএ, এলএলবি (অনার্স), এলএলএম] যোগাযোগ: বনকলাপাড়া রোড, সুবিদবাজার, সিলেট- ৩১০০। ই-মেইল: damarbangla@gmail.com ফোন: ৭১৪২৭১, মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৪৪৫৭৭৯২ www.dailyamarbangla.comCopyright © 2024 Daily Amar Bangla. All rights reserved.