আত্মঘাতী সংঘাতের পুনরাবৃত্তি এড়াতে সীমান্ত রক্ষা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে

0
492
blank

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্রোহের মতো আত্মঘাতী সংঘাতের পুনরাবৃত্তি এড়াতে সীমান্ত রক্ষা বাহিনীকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। একই সঙ্গে সীমান্তসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দায়িত্বপালনে আগের চেয়ে বেশি সফলতা অর্জন করার জন্য বিজিবিকে ধন্যবাদ জানান তিনি। রোববার বিজিবি দিবস উপলক্ষে পিলখানায় বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিজিবির অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ মর্যাদার সঙ্গে চলবে।

২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই পিলখানায় বিডিআর বাহিনীতে বিদ্রোহের সূত্রপাত ঘটে। ওই বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭২ জন প্রাণ হারান। রক্তাক্ত ওই বিদ্রোহের পর দায়ীদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি খোলনলচে বদলে দেওয়া হয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনীকে। বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) বাহিনীর নাম বদলে হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পোশাকও পরিবর্তিত হয়।

বিদ্রোহের ওই ঘটনাটিকে ইতিহাসের একটি ‘কালো অধ্যায়’ অধ্যায় আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, সে সময় সরকার গঠনের পরপরই বিদ্রোহের একটি রক্তাক্ত অধ্যায় আমাদের মোকাবেলা করতে হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ২শ’ ২০ বছরের ঐতিহ্যবাহী সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এই বাহিনীর রয়েছে গৌরবময় সমৃদ্ধ ইতিহাস। মুক্তিযুদ্ধে আজকের বিজিবি ও তৎকালীন ইপিআর’র গৌরবময় ভূমিকা প্রশংসনীয়। এই বাহিনী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলে। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই বাহিনী দুঃসাহসী কাজ করেছিলো বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে তৎকালীন ইপিআর’র বেতারকর্মীরা এই পিলখানা থেকেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা সমগ্র দেশে প্রচার করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা ওয়্যারলেস যোগে প্রচার করায় ইপিআরের সুবেদার মেজর শওকত আলী এবং আরও ৩ সদস্যকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে।