আসন্ন বাজেট সহজ ও বোধগম্য হবে: অর্থমন্ত্রী

0
819
blank
blank

অর্থনৈতিক রিপোর্টার: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আসন্ন বাজেট সহজ ও বোধগম্য হবে। এবারের বাজেট নতুনভাবে যেন সবাই বুঝে সেদিকে লক্ষ্য রেখে নতুনত্ব আনা হবে। তিনি বলেন, আমরা এবার বাজেটটিকে উপস্থাপন করব খুব সংক্ষিপ্ত আকারে এবং সহজবোধ্যরূপে, যাতে করে বাজেটটি সকলের বোধগম্য হয়। যাদের জন্য বাজেট সেই সর্বস্তরের মানুষ যাতে সহজে বাজেটটি বুঝতে পারে। বাজেট দেখলেই যেন তাদের কাছে দূর্বোধ্য কিছু, ভীতিকর কিছু মনে না হয়। একই সঙ্গে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্ন বাস্তবায়নের বিষয়টি মাথায় রেখে বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে। সার্বিকভাবে বাজেট এক বছরের আয়-ব্যয়ের হিসেব হলেও মূলত এতে ৪১’ সালের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নেয়া হয়েছে। কারণ ওই সময়ের মধ্যে জাতির জনকের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বর্তমান সরকারের।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সবসময় উদাহরণ সৃষ্টিকারী দেশ। স্বাধীনতার পর পর আমরা বিশ্বের দরবারে বিধ্বস্ত, ভুখা-নাঙা, হতদরিদ্র ও অনুন্নয়নের উদাহরণ ছিলাম। একসময় বিশ্বের খ্যাতনাম অর্থনীতিবিদরাও বলেছেন, যদি বাংলাদেশে উন্নয়ন হয় তাহলে পৃথিবীর সর্বত্রই উন্নয়ন সম্ভব। এমন তাচ্ছিল্যভরেই বাংলাদেশকে তখন দেখা হতো। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ এখন আবার উদাহরণ হয়েছে, তবে এখন বলা হয়ে থাকে যদি অবিশ্বাস্য রকম উন্নয়ন দেখতে চাও তবে বালাদেশে যাও। বিশ্বব্যাপী চলমান অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশ গত ১০ বছরে সরকারের ধারাবাহিক সাফল্যে ৭ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জনে সমর্থ হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় দাড়িয়েছে ১৯০৯ মার্কিন ডলার। আমরা ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যাশা করছি। জাতির জনকের সুযোগ্য উত্তরসূরী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসার পর তার দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বে জাতির জনকের অসমাপ্ত কাজের দায়িত্ব নিয়েছেন। জাতির জনক যেমনটি বলেছিলেন “তোমরা আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবানা”, ঠিক তেমন করেই বাংলাদেশ তার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) শেরে বাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪০তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রতিবছরের মতো এবারও আসছে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেটকে সামনে রেখে যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে

বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ। এফবিসিসিআইয়ের পক্ষে বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।