উদ্বেগ কমান সহজে, থাকুন চাপমুক্ত

0
682
blank
blank

উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তার মধ্যে কোনোদিন পড়েননি এমন মানুষ পাওয়া যাবে না। তবে মাথা ঠাণ্ডা রেখে সেই উদ্বেগের বিষয়গুলো কাটিয়ে ওঠাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। চিন্তা ও উদ্বেগে মাথা এলোমেলো হয়ে যায়, তখন সহজ বিষয়গুলোও তখন জটিল আকার ধারণ করে, কাছের মানুষদের সাথে অহেতুক খারাপ ব্যবহার হয়ে যায়, এমনকি দুশ্চিন্তার কারণে অনেক বড় ভুল সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলে মানুষ।

মানসিক চাপ থেকেই অনেকে নানা রোগে আক্রান্ত হন। তবে এ থেকে মুক্তির উপায় আছে। এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো অভ্যাসে পরিণত করতে পারলে উদ্বেগজনিত ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা যায়।

চলুন জেনে নেই সেই উপায়গুলো সম্পর্কে-

১. প্রতিদিন দশ থেকে পনের মিনিট মেডিটেশন করুন। দেখবেন সপ্তাহখানেক পর থেকে অনেকটাই ফল পাচ্ছেন। টেনশন কমছে, আত্মবিশ্বাস ফিরে পাচ্ছেন। সকাল, সন্ধ্যা বা রাত্রে যে কোনও সময় আপনি মেডিটেশন করতে পারেন। যে সময় আপনার চারপাশের পরিবেশ শান্ত থাকে সেই সময়টা মেডিটেশনের জন্য বেছে নিন।

২. প্রতিদিন প্রাণায়মের অভ্যাস আপনাকে অনেকটাই টেনশনমুক্ত রাখতে পারে। প্রাণায়াম শ্বাসের আদান-প্রদানকে নিয়ন্ত্রণে রেখে নানা ঘটনায় মনকে শান্ত থাকার পাঠ শেখায়।

৩. অনেকের প্রবল টেনশনের সময় ঘুম পায়। কেউ বা দু’চোখের পাতা এক করতে পারেন না। যদি নিরিবিলিতে ঘুমানোর অভ্যাস রপ্ত করতে পারেন, তাহলে তার মতো ভাল উপায় আর হতেই পারে না। টেনশন গ্রাস করছে দেখলে বা অনেকটা মানসিক চাপ পড়লে সময় বের করে একটু ঘুমিয়ে নিন।

৪. স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও পটাশিয়াম জাতীয় খাবার খান। অ্যাভোকাডো জাতীয় ফল রাখুন ডায়েটে। এটি টেনশন কমিয়ে ব্লাড প্রেশারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

৫. খুব টেনশনের সময় এমন কোনও মানুষের সঙ্গ বেছে নিন, যিনি কাছে থাকলে অনেকটা চাপমুক্ত থাকতে পারেন কিংবা এমন কেউ যাকে নিজের সব সমস্যার কথা বলতে পারেন। প্রিয় মানুষের সঙ্গ মনের চাপকে অনেকটাই কমিয়ে দেয় বলে মত মনোবিদদের।

৬. গান শুনতে ভালবাসলে দিনের মধ্যে কিছুটা সময় গান নিয়ে কাটান। মনের উপর চাপ পড়া রুখতে পারে গান।

৭. গল্পের বই পড়া হোক বা পছন্দের কোনও শখ, টেনশন কমাতে সাহায্য নিন তাদের। মনকে যত অন্য দিকে রাখবেন, ততই টেনশন কমবে। যদি পার্লারে গিয়ে সময় কাটাতে বা শপিং করতে ভালবাসেন, তা হলে তা-ই করুন। এতেও টেনশনের চাপ কমে অনেকটা।

৮. প্রতিদিনের ঝক্কি-ঝামেলা থেকে মাঝে মাঝে ছুটি নিলে আপনার মস্তিষ্ক থেকে আবর্জনা দূর হয়। মস্তিষ্কসহ শরীরের যেসব কোষ ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে পড়ে সেগুলো আবার সবল হওয়ার সুযোগ পায়।