উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নেই বাংলাদেশ: জাতিসংঘ

0
798
blank
blank

নিউজ ডেস্ক: গত কিছু দিন থেকে বাংলাদেশের শীর্ষ মিডিয়া এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হয়েছে।এই সব মাধ্যম বলছে, বাংলাদেশ যে উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে এটার সনদ দেওয়া হয়েছে জাতিসংঘ থেকে এবং উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে আনন্দ শোভাযাত্রা ও প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনাও দেওয়া হচ্ছে।এদিকে কিছু কিছু পক্ষ্য থেকে জানানো হচ্ছে ভিন্ন কথা। অনেকেই জাতিসংঘের ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে বলছে, এখনো বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হতে পারেনি। তবে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হবার পথে, অবশ্য সেটাও অনেক সময়ের ব্যাপার।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইট ঘেটে জানা গেছে, বাংলাদেশ এখনও স্বল্পোন্নত দেশের তালিকাতেই আছে। স্বল্পোন্নত দেশের ক্যাটাগরি থেকে বের হওয়ার জন্য মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক-এর তিনটি শর্তই প্রথমবারের মতো পূরণ করেছে বাংলাদেশ। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে আরও ছয় বছর। তাহলেই ২০২৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতির আনুষ্ঠানিক সনদ মিলবে।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে আরোও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের শর্তাবলী পূরণ করলেও উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করার জন্য দ্বিতীয়বার এই শর্তাবলী পূরণ করতে হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাওয়া দেশগুলোর নামোও প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। সেই তালিকায় এখন পর্যন্ত পাচঁটি দেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে, বতসোয়ানা, কাবো ভার্দে, গিনিয়া, মালদ্বীপ এবং সামোয়া। ভেনুয়াতু এবং অ্যাঙ্গুলা আগামি তিন বছরের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নাম লেখাবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং লাও পিপল’স ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক প্রথমবারের মতো স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের শর্তাবলী পূরণ করলেও তাদেরকে উত্তরণের যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করার জন্য দ্বিতীয়বার এই শর্তাবলী পূরণ করতে হবে। আর উন্নয়নশীল দেশের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য ছয় বছর এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।