উপজেলা নির্বাচন উপলক্ষ্যে এসএমপির গণবিজ্ঞপ্তি

0
919
blank
blank

সিলেট: ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে যানবাহন, মোটরসাইকেল, নৌ-যান চলাচল, বৈধ অস্ত্র বহন ও প্রদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। শুক্রবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- আগামী ১৭ মার্চ রোববার দিবাগত রাত ১২টা থেকে পরদিন মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত সিলেট মহানগর, সদর উপজেলা ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় বেবী টেক্সি, অটোরিক্সা, ইজি বাইক, ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রোবাস, জীপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পু চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।

১৬ মার্চ শনিবার মধ্যরাত ১২.০০ ঘটিকা হতে ভোট গ্রহণের দিন অর্থাৎ ১৮ মার্চ মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত ওই নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। তবে নির্বাচনে প্রার্থী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক এবং নির্বাচনী এজেন্টদের জন্য এই নির্দেশ প্রযোজ্য হবে না। তবে পর্যবেক্ষক ও পোলিং এজেন্টদের যানবাহনে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত ষ্টীকার ব্যবহার করতে হবে।

আগামী ১৭ মার্চ রোববার দিবাগত রাত ১২টা থেকে পরদিন মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত সিলেট মহানগর, সদর উপজেলা ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় নৌ-যান যথা: লঞ্চ, স্পিডবোট, ইঞ্জিন চালিত যে কোন ধরণের নৌ-যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। তবে- নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশী পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য। সেইসাথে নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশী সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরী কাজ যেমন- এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লেখিত নৌ-যান চলাচলের ক্ষেত্রে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। তাছাড়া প্রধান প্রধান নৌ-পথে বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। সে সাথে ভোটার ও জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে সকল নৌ-যান চলাচলের ক্ষেত্রে ও দূর পাল্লার নৌ-যান চলাচলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। আগামী ২৫ মার্চ মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় বৈধ অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়।
উক্ত আদেশ ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে এ আদেশ ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।