এই মুহুর্তে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারব না: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

0
470
blank

অনলাইন ডেস্ক: বড় বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে না পারা ও সরবরাহ লাইনে ঘাটতি রয়েছে জানিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, এই মুহুর্তে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে পারব না। সচিবালয়ে সোমবার (২২ মে) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখন আমরা বলব না যে খুব ভাল অবস্থায় আছি। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ভাল অবস্থায় যেতে আরও তিনটি বছর লাগবে। ট্রান্সমিশনে (সঞ্চালন লাইন) এখনও ঘাটতি রয়ে গেছে, কাজ চলছে। চীন সরকারের কাছ থেকে আমাদের যে অর্থ পাওয়ার কথা সেগুলো প্রক্রিয়াধীন আছে। সব মিলিয়ে একটা ভাল জায়গায় যেতে ৩/৪ বছর লেগে যাবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৃহৎ প্র্রকল্পগুলো এখনও আসেনি, সেগুলো আসতে সময় লাগছে। আমি মনে করি দেশবাসী যারা আছেন, যারা গ্রাহক আছেন, সকলে আমাদের অবস্থাটা বুঝতে পারবেন। আমাদের সঙ্গে থাকবেন। ইনশাআল্লাহ, আমরা একটা ভাল অবস্থার দিকে যাব।
আগামী রমজান মাসে বিদ্যুতের সংকট হবে কিনা- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলতে পারি একটা ভাল পরিস্থিতির দিকে যাবে। সংকট তো থাকবেই, এখনও আছে।’
আশুগঞ্জে বিদ্যুৎ সঞ্চালন আইন ভেঙ্গে পড়ায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে। আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তবে সঞ্চালন লাইন মেরামত করতে ৬-৭ মাস লাগবে বলেও জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
সঞ্চালন লাইন মেরামত করতে ৬-৭ মাস লাগলে ৪-৫ দিন পর কীভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে যে কয়টা পাওয়ার প্ল্যান্ট আছে সেগুলো আমরা ৪-৫ দিনের মধ্যে শুরু করে দেব। এর মাধ্যকে কাভার করা হবে। তবে আমি বলতে পারি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ এই মুহুর্তে আমরা দিতে পারব না। এটা হতে হতে আমাদের আরও ৩-৪ বছর লেগে যাবে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, যদি ডিমান্ড থাকে ১২ হাজার মেগাওয়াট তবে ক্যাপাসিটি হতে হবে এখন ২০ হাজার মেগাওয়াট। আমরা দেখছি বৃষ্টি হলে চাহিদা ৪ হাজার মেগাওয়াটে নেমে যাচ্ছে। গরম পড়লে বেড়ে হচ্ছে ১২ হাজার মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ ব্যবহারের প্যাটার্ন চেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে।