নিজস্ব প্রতিনিধি: এক মুসলিম দম্পতি চার্চে গিয়ে খৃষ্টান ধর্ম গ্রহন করা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দম্পতির আত্ত্বীয় স্বজনের সাথে সংঘর্ষে সুমন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানায়। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ থাকে যে, ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানার বেলনা বাবুর কান্দি গ্রামের বাসিন্দা সিদ্দিক হোসেনের ছেলে আকাশ হোসেন বিগত ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ে করেন নুসরাতুল জান্নাতকে। ২০১৫ সালে তাদের একটি সন্তানের জন্ম হয়। কন্যা সন্তান আয়শা হোসেন ৭/৮ মাস বয়সে মারাত্মক চোখের রোগে আক্রান্ত হন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করলেও তার অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি।
একই গ্রামের বাসিন্দা খৃষ্টান ব্যক্তি সুরেন বাড়ই তাদের নিয়ে যান নবাবগঞ্জ হাসনাবাদ এলাকায় অবস্থিত হলি রোসারি খৃষ্টান মিশনারিতে। সেখানে বিদেশী ডাক্তার খন্ডকালীন চিকিৎসাদেন। তাদের চিকিৎসায় আকাশ হোসেনের মেয়ে আয়শা হোসেনের দৃষ্টি শক্তির উন্নতি হয় এবং রোগ নিরাময় হয়। মিশনারি ডাক্তার সহ পরিচালক ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যবহারে মুগ্ধ হন আকাশ ও নুসরাত।
সুরেন বাড়ই এর প্ররোচনায় প্রতি রবিবার তারা বাংলায় বাইবেলের মর্মবানী শুনতে থাকেন। বাইবেলের অনেক বানীই পবিত্র কোরআন শরীফের সাথে সামঞ্জস্যশীল বলে দাবি করেন এই দম্পতি। বিষয়টি তারা এলাকায় প্রচার করতে থাকলে বাধে বিপত্তি। বেলনা বাবুর কান্দি গামসহ আশেপাশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ক্ষুদ্ধ হন এবং তাদের এহেন প্রচারণা বন্ধ করতে এবং মিশনারিতে যেতে কঠোরভাবে নিষেধ করেন ধর্মপ্রাণ জনতা। বেশ কিছুদিন পর ঐ দম্পতি আবারও হলি রোসারিতে যান এবং কথিত আছে যে, গোপনে তারা খৃষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তারা ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেও তাদের আচার-আচরণে খৃষ্টান ধর্মের প্রতি অনুরক্ত হওয়ার বিষযটি বুঝতে পেরে এলাকাবাসী ও ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাখন আকাশ হোসেন বাইবেলকে ইশ্বরের বানী বলে দাবী করলে সুমন নামে একজন যুবক এলাকাবাসীর পক্ষে ক্ষিপ্ত হয়ে আক্রমন করেন। তখন ধর্মান্তরিত নব্য খৃষ্টান আকাশ হোসেন ও তার সহযোগী ওমর আশরাফ সুমনকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে মারাত্মক আহত করে গত ২১ শে আগষ্ট, ২০১৮ ইংরেজী সালে। ঐদিন রাতেই হাসপাতালে মৃত্যু হয় সুমনের।
ঘটনার পরেই আকাশ ও তার সহযোগী ওমর আত্মগোপন করে। এলাকাবাসীর আক্রমন থেকে বাচতে আকাশের স্ত্রী নুসরাতও তাদের সাথে আত্মগোপন করে। সুমন হত্যাকান্ডের জন্য তার পিতা সাজন রহমান বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আকাশকে না পেয়ে তার পিতা সিদ্দিক হোসেনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন। তাদের বিরোদ্ধে এলাকায় প্রতিবাদ সভা ও পোস্টারিং করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আকাশ হোসেনের বাড়ি ঘেরাও করে তৌহিদী জনতা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিব্বির আহমদ ওসমানী [এমএ, এলএলবি (অনার্স), এলএলএম] যোগাযোগ: বনকলাপাড়া রোড, সুবিদবাজার, সিলেট- ৩১০০। ই-মেইল: damarbangla@gmail.com ফোন: ৭১৪২৭১, মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৪৪৫৭৭৯২ www.dailyamarbangla.comCopyright © 2024 Daily Amar Bangla. All rights reserved.