টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার ভাই জাহিদুর রহমান খান কাকনের নির্দেশেই যুবলীগের দুই কর্মী শামীম ও মামুনকে হত্যা করা হয়। যুবলীগের কর্মী মোহাম্মদ শামীম (২৮) ও মামুন মিয়া (২৫) হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত হিরন মিয়া (৩৮) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য জানান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রুপম কান্তি দাসের আদালতে এই জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়। গ্রেফতারকৃত হিরন শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার মৃত আমজাদ সরকারের ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার সিংহ জানান, গত বুধবার হিরন মিয়াকে বিশ্বাস বেতকা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি যুবলীগ কর্মী শামীম ও মামুন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। পরে তাকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
আদালত সূত্র জানায়, হিরন মিয়া জবানবন্দিতে বলেন- 'এমপি রানার নির্দেশেই মোর্শেদের নেতৃত্বে মামুন ও শামীমকে হত্যা করা হয়।'
গত মার্চে এই মামলা গ্রেফতারকৃত দুই আসামি সাহাদত হোসেন ওরফে সাধু (৪৫) এবং খন্দকার জাহিদুল ইসলাম (৩৮) নামক দুই আসামি আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতেও এমপি রানা ও তার ভাই জাহিদুর রহমান খান কাকনের এই হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মী মোহাম্মদ শামীম (২৮) ও মামুন মিয়া (২৫) ২০১২ সালের ১৬ জুলাই নিখোঁজ হন। ওই দিনই দুজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার পর লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিব্বির আহমদ ওসমানী [এমএ, এলএলবি (অনার্স), এলএলএম] যোগাযোগ: বনকলাপাড়া রোড, সুবিদবাজার, সিলেট- ৩১০০। ই-মেইল: damarbangla@gmail.com ফোন: ৭১৪২৭১, মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৪৪৫৭৭৯২ www.dailyamarbangla.comCopyright © 2024 Daily Amar Bangla. All rights reserved.