ওবায়দুল কাদেরকে কোম্পানীগঞ্জে ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা কাদের মির্জার

0
530
blank
blank

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা তার বড়ভাই ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আপনি আমার বিরুদ্ধে পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছেন, সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়েছেন। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন সন্ত্রাসী খুনি বাদল বাহিনীর হাতে জিম্মি। তিনি প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। নিজের দুর্নীতিবাজ স্ত্রী ইশরাতুন্নেছা কাদেরকে বাঁচাতে তিনি ব্যস্ত।

তিনি বলেন, আপনি কী করবেন? পেটাবেন, মেরে ফেলবেন, গুলি করবেন করেন। মনে রাখবেন এ কোম্পানীগঞ্জের মাটি থেকে একদিন আপনার অস্তিত্ব বিলিন হয়ে যাবে। আপনি ডিসি, এসপি, এডিসি, কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও, ওসি, ওসি (তদন্ত) এদের বিচার করুণ। এসব সমস্যার সমাধান করুন। যদি সমাধান না করেন তবে কোম্পানীগঞ্জের মাটিতে আপনাকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আমার রক্ত ঝরবে, আমার পরিবারের লোকজনের রক্ত ঝরবে তবু্ও আপনাকে কোম্পানীগঞ্জে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে তার পৌরসভার কার্যালয় থেকে ফেসবুক লাইভে এসে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর একরামুল করিম চৌধুরী ও ফেনীর নিজাম উদ্দিন হাজারীকে এমপি পদে দলীয় নমিনেশন দিলে প্রমাণ হয়ে যাবে আওয়ামী লীগ অপরাজনীতি করে। আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের আর প্রার্থীতা দেবেন না।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার আমার ছেলেটাকে মারা হল, আমার পৌরসভায় আক্রমণ হলো। তারা উল্টো আমার ছেলেদের গ্রেপ্তার করছে। গতকালের ঘটনায় আমার ২৫ জন ছেলে আহত হয়েছে। আহত হওয়ার ঘটনায় তারা অভিযোগ দায়ের করতে গেলে ওসি মীর জাহেদুল হক রনি আমাদের অভিযোগ গ্রহণ করেনি। অথচ সন্ত্রাসী খুনি বাদল বাহিনীর অভিযোগ গ্রহণ করেছে এবং আমার নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ।

কাদের মির্জা ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, আপনার স্ত্রী ২০ লাখ টাকা দামের শাড়ি পরে। আর আমার গরীব মানুষ ২০০ টাকার জন্য ছেঁড়া কাপড় পরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। এটা কি চলতে দেওয়া যায়, এ জন্য কি বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছেন?

কাদের মির্জা বলেন, আমার ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন অর্থের অভাবে আত্মহত্যা করে মারা গেছেন। আরেক ভাই ফজলুল কাদের মিন্টু শিক্ষকতা পেশা শেষ করে ২৫ লাখ টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন। এখন ফ্ল্যাটের টাকা দিতে পারছেন না। তাকে বের করে দেওয়ার উপক্রম হয়েছে।। আমার অন্য ভাই শাহাদাত হোসেন কোটি টাকার ওপরে দেনা। আমার অবস্থাও করুণ। ওবায়দুল কাদের এসবের খবর নিচ্ছেন না।