ওসমানীনগরে হত্যা মামলা দায়ের করে নিরাপত্তাহীন বাদীর পরিবার

0
486
blank
blank

স্টাফ রিপোর্টার: সিলটের ওসমানীনগর উপজেলায় হত্যা মামলা দায়র করে নিরাপত্তাহীনতার ভূগছেন বাদীর পরিবার। মামলার আসামীরা এলাকায় প্রকাশে ঘূরে বেড়াচ্ছে। এমনকি বাদীক মামলা তুলে নিতে অব্যাহতভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এনিয়ে চরম আততংকে দিন কাটাচ্ছেন বাদী ও তার পরিবার। এজন্য আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়ে ওসমানীনগর উপজেলার ১০ নং উসমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের পড়িয়ারখাই গ্রামের স্থায়ী বাসিন্ধা মৃত মন্তাজ উল্লাহর পুত্র জিলু মিয়া। রোববার সকালে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের ড. রাগীব আলী মিলনায়তের আয়োজিত এক জনাকির্ণ সংবাদ সম্মেলনের এসব কথা জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, একই গ্রামের ছালিক মিয়া, দুলু মিয়া, আব্দুল কাইয়ুম, জুনেদ মিয়া, কালাম মিয়া, শরীফ মিয়া, ছালাম মিয়া গংদের সাথে দীর্ঘ দিন থেকে তার ছোট ভাই ক্বারী সিরাজুল ইসলাম রিপনের রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলছিল। তারা বিভিন্ন সময়ে একই গ্রামের মৃত রশিদ আহমদের পুত্র লন্ডন প্রবাসী হেলাল মিয়ার প্ররোচনায় রিপনকে প্রাণে হত্যার হুমকিও দেয়। এর জের ধরে ১৯/০৭/২০১৪ রিপন জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ওসমানীনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। জিডি নং ৮৪৮। জিডি করার এক বছর পর গত ১৪ জুলাই নিখোঁজ হন ক্বারী সিরাজুল ইসলাম রিপন। নিখোঁজের এর পরদিন ১৫ জুলাই বিবাদীদরে বাড়ির পাশ থেকে রিপনের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ১৬ জুলাই উপরে উলে­খিতদের বিবাদী করে জিলু মিয়া বাদী হয়ে ওসমানীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৫। মামলা দায়েরের পর প্রথম দিকে ৪জন আসামী গ্রেফতারও হয়। আর বাকী আসামীরা এলাকায় এলাকায় প্রকাশ্যে ঘূরে বেড়ালেও রহস্যজনক কারনে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়নি। আর যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়ছিল তারাও কিছুদিনের মধ্যে জামিনে বেরিয়ে আসে।

তিনি জানান, বর্তমানে মামলার সকল আসামীগণ এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমনকি প্রতিনিয়ত তাদেরকে মামলা তুলে নিতে অব্যাহত হুমকি ধমকি দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে নিহত রিপনের মতো পরিনতি ভোগ করতে হবে বলেও হুমকি দিচ্ছেন বিবাদীরা। এজন্য বাদী ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। মামলাটির বর্তমান অবস্থা এবং আসামীদের হুমকি ধমকির বিষয়টি সর্বশেষ গত ৪ নভেম্বর সিলেটের পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে অবগত করেছেন তিনি। বর্তশানে আসামীদের ধাপটের কারনে রীতিমতো আমাদের এলাকায় থাকা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে তাদের। তাই মামলাটি সুষ্ট ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সকল আগামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইননের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- নিহতের বৃদ্ধা মা মখলোছা বেগম, নিহতের বড় বোন রুফিয়া বেগম, সুফিয়া বেগম, রুকিয়া বেগম, রুশনা বেগম, এলাবার বিশিষ্ট মুরব্বী সৈইদ উল্লাহ, তোরাব উল্লাহ, তৈয়ব উল্লাহ, তনজব উল্লাহ, আহাদ মিয়া, লোকমান আহমদ, রুমেল মিয়া, ফয়সল আহমদ প্রমূখ।