কারাগারের নিরাপত্তা উন্নত করতে সরকার বাস্তবমুখী পদক্ষেপ: এইচ টি ইমাম

0
593
blank
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, কারাগারের নিরাপত্তা আরও উন্নত করতে সরকার বাস্তবমুখী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে কারাবন্দিদের শ্রেণী বিন্যাস না থাকলেও অন্য অনেক দেশের চেয়ে এ দেশের কারাগারের ব্যবস্থাপনা অনেক উন্নত- এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামীতে কারাগারের শ্রেণী বিন্যাসের বিষয়টিও বর্তমান সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে ‘কারাগারের মধ্যে নিরাপত্তা এবং মানবিক চাহিদার ভারসাম্য’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ১৬ মে থেকে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৪টি দেশের সমন্বয়ে প্রথমবারের মতো তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে ২৮জন জ্যেষ্ঠ কারা কর্মকর্তা অংশ নেন। আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) ও বাংলাদেশ কারা অধিদফতর যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

এইচ টি ইমাম বলেন, সম্মেলনে অন্যান্য দেশের কারা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কারা সংশ্লিষ্ট তথ্য শেয়ারিং হয়েছে। এ তথ্য বিনিময় ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কারাগারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ১৪টি দেশ একই ছাতার নিচে থেকে একটি সংগঠনের ব্যানারে স্ব স্ব দেশের কারাগারের উন্নয়নে কাজ করতে পারে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারাগারের সমস্যাগুলো সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। এসব সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারা জীবনের ওপর লিখিত ‘কারাগারের রোজনামচা’র কথা উল্লেখ করে রাজনৈতিক উপদেষ্টা ইমাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর সেই ডায়েরির কথাগুলো বিবেচনায় রেখে কারাগারের সমস্যাগুলো সমাধান করে আরও আধুনিক কারাসেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন আইসিআরসি বাংলাদেশের হেড অফ ডেলেগেশন ইখতিয়ার আসলানভ, ঢাকা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও কারা উপ-মহাপরিদর্শক (সদর দফতর) মো. বজলুর রশীদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সম্মেলনে বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, চীন, ফিজি, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মায়ানমার, পাকিস্তান, পাপুয়া নিউগিনি, ফিলিপাইন, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড এবং ভানুয়াতু অংশগ্রহণ করে।