কুষ্টিয়ায় আ’লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

0
574
blank

কুষ্টিযা প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষে শাহাবুদ্দিন আহমেদ শাহিন (২৮) নামে এক কর্মী নিহত হয়েছেন।রোববার দুপুরে উপজেলার আমলা ইউনিয়নের আমলা বাজারের এ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শাহিন আমলা এলাকার শাহার আলীর ছেলে। ঘটনার পর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, আমলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ারুল মালিথা কয়েকটি দেশ সফর শেষে এলাকায় ফিরলে তার সমর্থকরা আনন্দ মিছিল বের করে। মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় তার সমর্থকরা আমলা বাজারে যুবলীগের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর চালায়। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে তারা। ভাংচুরের খবরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ মিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিনের সমর্থকরা মালিথার সমর্থকদের তাড়া দিলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলি ও বোমার বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। গুলিবিদ্ধসহ ৭ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত শাহিনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আনার পর চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া অন্য আহত আতিয়ার রহমান, শাহার আলী, সাইদুল ইসলামসহ কয়েকজনকে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ সাইদুলের অবস্থাও গুরুতর বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

আমলা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল মালিথা বলেন, আমার সংবর্ধনা মিছিলে উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা চালায়। এতে আমার কয়েক কর্মী আহত হয়। একজন মারা গেছে।

উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন বলেন, যারা আমার ওপর বোমা হামলা চালিয়েছিল, সেসব বিএনপি ক্যাডারকে সঙ্গে নিয়ে আনোয়ারুল মালিথা আমার এলাকায় যুবলীগের অফিসে ভাংচুর চালিয়েছে। এ সময় ৫টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান জানান, হামলার ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

হাসাপাতালে নিহত শাহিনের বোন নাজমা আক্তার জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানের লোকজন আমার ভাইকে হত্যা করেছে। এর বিচার চাই আমরা।