ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরির কারখানায় ভয়াবহ আগুনে দগ্ধ আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে বুধবার বিকেলের ওই আগুনে এখন পর্যন্ত নয়জনের মৃত্যু হলো।
বার্ন ইউিনটের আবাসিক সার্জন এসএম আরিফুল ইসলাম নবীন সমকালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হাসপাতালে দগ্ধ মোট ৩১ জনকে ভর্তি করা হয়েছিল। এরমধ্যে রাতে আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
রাতে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- ইমরান, রায়হান, বাবলু, সুজন, আলাউদ্দিন, খালেদ, জিনারুল ও আলমগীর।
এর আগে বুধবার বিকেলে 'প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ' নামের এই কারখানাটিতে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দগ্ধদের অধিকাংশই কারখানাটির শ্রমিক।
দগ্ধ কয়েক শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে ধারণা পাওয়া গেছে, কারখানায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে শ্রমিকরা ভেতরেই আটকা পড়েন। সেখানে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের থালা, গ্লাস ও বিভিন্ন খাবার সরবরাহে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের বাক্স ও প্যাকেট তৈরি করা হতো।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢামেকের বার্ন ইউনিট কর্তৃপক্ষ সব চিকিৎসক ও কর্মীর ছুটি বাতিল করে দায়িত্বে নিয়োজিত করেছেন। কেরানীগঞ্জের স্থানীয় এমপি ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ হাসপাতালে আহতদের দেখতে আসেন। তিনি বলেন, 'কারখানাটির কোনো অনুমোদন ছিল না।'
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, বিকেল ৪টার দিকে কারখানাটিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তর, পোস্তগোলা ও কেরানীগঞ্জ থেকে ১০টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। আগুন লাগার খবরে স্থানীয় লোকজনও ভিড় করে সেখানে। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে পুলিশ ও র্যাব সদস্যরাও দগ্ধদের উদ্ধার কাজে অংশ নেন।
আগুন লাগার ব্যাপকতার খবরে ঢাকা থেকে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ২০টি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এসব অ্যাম্বুলেন্সে করে দগ্ধদের দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ফায়ার অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন সমকালকে বলেন, 'সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও নেভাতে আরও সময় লেগেছে। আগুনে দগ্ধদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। আগুন নেভানোর পর তল্লাশি করে ভেতর থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।'
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিব্বির আহমদ ওসমানী [এমএ, এলএলবি (অনার্স), এলএলএম] যোগাযোগ: বনকলাপাড়া রোড, সুবিদবাজার, সিলেট- ৩১০০। ই-মেইল: damarbangla@gmail.com ফোন: ৭১৪২৭১, মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৪৪৫৭৭৯২ www.dailyamarbangla.comCopyright © 2024 Daily Amar Bangla. All rights reserved.