কোরিয়ার অ্যান্টিজেন কিট এনে বেআইনি কাজ করছে সরকার

0
438
blank
blank

দক্ষিণ কোরিয়া থেকে অ্যান্টিজেন কিট আমদানি করে সরকার বেআইনি কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা সবার আগে অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি কিট আবিষ্কার করি। সরকার আমাদের অ্যান্টিজেন কিট আমেরিকার ল্যাবে পরীক্ষা করাতে বলে।
তখন আমি সরকারকে বোঝাই আমিতো আমার দেশের মানুষের জন্য এই কিট বানিয়েছি। চারটি দেশের অ্যাম্বাসেডরের সঙ্গে আমি ফাইট (লড়াই) করেছি। বলেছি এটা আমাদের দেশের ব্যাপার ভালো হলে ভালো, খারাপ হলে খারাপ, তুমি কেন মাথা ঘামাও? তখন আমাদের কিটের বিষয়ে নতুন একটা কন্ডিশন দেয়া হল, আমেরিকা অথবা সুইডেনের তৃতীয় পক্ষের একটা ল্যাবে পরীক্ষা করতে হবে। সেখানে আমাদের প্রায় আরও এক কোটি টাকা খরচ করতে হবে।

তিনি বলেন, সব থেকে বড় কথা হচ্ছে আমি তৃতীয় বিশ্বকে ঠকানোর জন্য রাজি হইনি। এখন সরকার দক্ষিণ কোরিয়া থেকে অ্যান্টিজেন কিট আমদানি করছে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যান্টিজেন কিটতো আমেরিকার ল্যাবে পরীক্ষা করেনি। এখন কথা হচ্ছে আমাকে যে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে, দক্ষিণ কোরিয়াকেও সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার বেলায় তারা সেই নীতি অনুসরণ করছে না। এটা একেবারে বেআইনি কাজ করছে সরকার। দেশের কিটের বেলায় এক নিয়ম, আর অন্য দেশের কিট হলে আরেক শর্টকাট নিয়ম হতে পারে না। নাকি এখানে টাকা পয়সার বিষয় জড়িত?

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, আমাদের কিট তৈরি আছে। কিন্তু বাজারজাত করতে পারছি না। অন্তত চারটি দেশ আমাদের অ্যান্টিজেন কিট নিতে চাইছে। কিন্তু সেখানে কন্ডিশন হচ্ছে কিট আমাদের দেশে রেজিস্টার্ড হতে হবে। সে কারণে আমি তাদেরকেও দিতে পারছি না। দেশের মানুষের এবং পৃথিবীর মানুষেরও উপকার করতে পারছি না।