কোটা আন্দোলনের সঙ্গে জঙ্গি কর্মকাণ্ডের মিল আছে: ঢাবি উপাচার্য

0
583
blank
blank
ঢাবি প্রতিনিধি। কোটা সংস্কার আন্দোলনে অশুভ শক্তির তৎপরতা এবং জঙ্গিকর্মকাণ্ড দেখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। আজ রবিবার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসার জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সামাদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী ও কয়েকজন সহকারী প্রক্টর।
উপাচার্য বলেন, সম্প্রতি কয়েকটি সুস্পষ্ট ঘটনা প্রবাহে প্রতীয়মান হয়, একটি বড় অপশক্তি ক্রিয়াশীল আছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, কিছুদিন পূর্বে কয়েকজন সহকর্মী ফেসবুকে একটি লাইভ ভিডিও দেখায়। তাতে দেখি তালেবান জঙ্গি শাবাব, বোকো হারাম যেভাবে গোপন জায়গা থেকে ভিডিও বার্তা ছেড়ে বিভিন্ন নাশকতা ছড়ায় সেটিতে তার প্রতিচ্ছবি পাই। খুব কঠিন কঠিন উগ্র চরমপন্থা ভাবাদর্শ সে ভিডিওতে দেখেছি। শুনতাম দুই ঘণ্টা পর একটা ছাড়ে। আফগানিস্তানে মোল্লা ওমর এমন করে দেখেছি।
আরেকটি অশুভ তৎপরতা আমাদের কাছে ধারণা জন্মেছে। আমাদের একটি ইতিবাচক পরিবর্তন কিন্তু ইতোমধ্যে ঘটে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা রীতিমতো ক্লাস করতে চায়, পরীক্ষা দিতে চায়। এমন একটি অশুভ তৎপরতা শুরু হয়েছে পরীক্ষা দিতে দিবে না বাধা দেয়। এগুলো বড় মাপের একটি অশুভ তৎপরতা। স্বৈরাচারী শাসনের আন্দোলনের সময় আমাদের এমন দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন মানে সাধারণ ছাত্রদের মৌলিক অধিকারের বিপক্ষে দাঁড়ানো। অন্য অশুভ শক্তি হলো কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাইর থেকে অপশক্তি ঢুকে যাচ্ছে। তার একটি বড় প্রমাণ হলো লন্ডন থেকে ফোন দিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে স্ট্রাকচার ফর্মে দেয়া যায় কি না মনোনিবেশ করা। সবকিছু মিলে রাজনৈতিকভাবে উস্কে দিয়ে বিভিন্নভাবে ফায়দা লুটার তথ্যগুলোও আমদের কাছে আছে। সবকিছু মিলে অশুভ শক্তির ভালো তৎপরতা এবং মহড়া আছে।
জঙ্গিদের আরেকটা কর্মকাণ্ডের বহিঃপ্রকাশ আমরা লক্ষ্য করতাম তারা শেষ দিকে নারীদের ব্যবহার করত। এটাও একটা হালনাগাদ। ছয় মাসের মধ্যে এই পরিবর্তনটা লক্ষ্য করি। মেয়েদের হলগুলোতে হঠাৎ করে গভীর রাতে ২০-৩০ জন সংক্ষুব্ধ হয়ে স্লোগান দেওয়ার পরিবেশ আমরা লক্ষ্য করি। এটা স্বাভাবিকতার পরিপন্থি। এসব কিছু শুভ কিছুর ইঙ্গিত দেয় না।
ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলার প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে অশান্ত করে এমন কর্মকাণ্ড কোনোক্রমেই বরদাস্ত করব না। ১৮ বছর বয়স হলে আইনের বিধান প্রযোজ্য হয়। কেউ ফৌজদারী অপরাধ করলে ইনডেমনিটি দেয়ার কালচার থেকে বেরিয়ে এসেছে। আইনের শাসন কার্যকর করতে হবে। জনতাবদ্ধ হয়ে মামলা আইনি প্রক্রিয়া। বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার করে স্পষ্ট হতে হবে। অপরাধীর সঙ্গে যুক্ত যারা তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সম্প্রতি ঘটনার বিষয়ে ইতোমধ্যে প্রো-উপাচার্যকে (প্রশাসন) প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি চমৎকার গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চমৎকারভাবে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজ করছে। তার একটি বড় প্রমাণ হল সরকারি দলের বাইরে বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ স্মারকলিপি দিতে পেরেছে।