কোনো অন্যায়-অবিচার বরদাশত করবো না: প্রধানমন্ত্রী

0
680
blank
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে কোনো অন্যায়-অবিচার বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা কথা দিয়েছিলাম যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবো আমরা করেছি। কথা দিয়েছিলোম জাতির জনকের খুনিদের বিচার করবো আমরা করেছি। আমরা দেশ থেকে জঙ্গিবাদ দুর করেছি। এসময় সকল অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখার আহবান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত করবো। কারণ ভিক্ষুক জাতির কোনো সম্মান থাকেনা। এটা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা।

মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় দেয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সিলেটের চা উৎপাদন যাতে বৃদ্ধি পায় সে ব্যবস্থা করছি এবং চা শ্রমিকদের জীবন মানের উন্নয়নে যা যা করা দরকার তার করছি।

তিনি বলেন, আজকে দেশে ১৪ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহার করে মানুষ। ৭ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। প্রযুক্তিকে আরো উন্নতি করতে ব্ঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নির্মানও প্রায় শেষ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়ে এসে দেশের উন্নয়ন করে আর বিএনপি এসে পেছনের দিকে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, আমরা দেশে গাছ লাগাই তারা গাছ কাঠে, আমরা রাস্তা বনাই তারা রাস্তা কাটে। এভাবে তারা দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি ২২৫২, গাড়ি, ২৯ রেল গাড়ী, ৯টি লঞ্চে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। আন্দোলন মানুষের জন্য কিন্তু বিএনপি আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষকে পুড়িয়ে মারে। এসময় বিএনপির চেয়ারপারস বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যাকারী বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে অনুষ্ঠানিকভাবে সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় দেয়া ভাষণে একথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আর মাত্র এক বছর বাকি। তাই নির্বাচনের অনুষ্ঠানিক প্রচারণা সিলেট থেকেই আমি শুরু করলাম।

এর আগে বিকেল ৩ টার দিকে সিলেটের সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জনসভাস্থলে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ। ব্যানার, ফেস্টুন, দলীয় প্রতিক নৌকা নিয়ে যোগ দিয়েছে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। সকাল থেকে দলে দলে মিছিল সহকারে নেতাকর্মীরা আলিয়া মাঠে অবস্থান নেন। দুপুর হওয়ার আগেই আলিয়া মাঠ কানা কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। মাঠে স্থান সংকুলান না হওয়ায় আশপাশারে রাস্তাগুলোতেও নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে নগরীতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। এছাড়াও নগরী নির্মাণ করা হয়েছে একাধিক তুরোণ ও ফেস্টুন।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের সময় সিলেট পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সিলেট পৌঁছে হজরত শাহজালাল (রহ.), হজরত শাহপরান (রহ.) ও গাজী বোরহান উদ্দিন (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেছেন।