ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশে গত ছয় মাসে আইনশৃংখলা বাহিনীর হেফাজতে থাকা ৭৯ ব্যক্তি কথিত ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। নিহতের মধ্যে ৩০ জন পুলিশের সঙ্গে, ২৪ জন র্যাবের ও সাত জন ডিবি পুলিশের সঙ্গে ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন। এছাড়াও ১৩ জন পুলিশ-বিজিবি-ডিবির বন্দুকযুদ্ধ ও নির্যাতনে নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন পুলিশ-বিজিবির গুলিতে, ছয় জন পুলিশ-বিজিবির নির্যাতনে এবং ছয় জন ডিবির গুলিতে নিহত হয়েছে। থানা হেফাজতে বন্দি অবস্থায় মারা গেছেন চার জন। কারাগারে বন্দি অবস্থায় মারা গেছেন ৪২ জন, যার মধ্যে ১৪জন কয়েদি এবং ২৮ হাজতি।
বৃহস্পতিবার আসকের সহকারী পরিচালক জাফরিন সাত্তার স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ছয় মাসে আইনশৃংখলা বাহিনীর সাদা পোশাকধারী সদস্যরা ৫০ জনকে তুলে নিয়েছে। এর মধ্যে ছয় জনের লাশ পাওয়া গেছে, চারজনকে গ্রেপ্তার ও দু’জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। বাকি ৩৮ জনের কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশে শিশুদের নির্যাতন ও হত্যার হার গত ছয় মাসে আশংকাজনকভাবে বেড়ে গেছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে আসক। সংস্থাটি বলছে, গত ছয় মাসে ৫৯১জন শিশুকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়েছে এবং ২৩৫জনকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে নির্যাতনের পর ১৫জন শিশু আত্মহত্যা করেছে। এদিকে ছয় ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬৯৩টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে আসক। এতে ১৪২ জন নিহত এবং নয় হাজার ৮৫জন আহত হয়েছেন। গত ছয় মাসে একজন অধ্যক্ষ, ধর্মগুরু ও সেবায়েতসহ পাঁচজন হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছে। এই সম্প্রদায়ের সদস্যদের ৬৬টি বাড়িতে হামলা ও ৪৯টি মূর্তি ভাঙা হয়েছে বলে আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এছাড়া গত ছয় মাসে ৭৪ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতন, হয়রানি, হুমকি ও পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।