ঢাকা: রাজধানীর বনানীতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ওয়াজি আহমেদ চৌধুরীকে বাড়ির তত্ত্বাবধানকারী আবদুল আহাদ হত্যা করেছেন বলে সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যা ব)। জিজ্ঞাসাবাদে আহাদ এই তথ্য দেন বলে বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে র্যা ব। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যা বের মিডিয়া সেন্টারে এই ব্রিফিং হয়।
এতে আহাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র্যা ব-৪-এর অধিনায়ক লুৎফুল কবীর বলেন, জেনারেল ওয়াজি আহমেদ চৌধুরীর ছেলে মো. ফুয়াদ আহমেদ চৌধুরী বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক আহাদকে (৩৫) মারধর করেন। ক্ষোভে বেতন দাবি করে চাকরি ছেড়ে চলে যেতে চান আহাদ। বেতন পরিশোধ না করতে চাইলে তিনি ওয়াজি আহমেদ চৌধুরীকে হাত-পা বেঁধে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেন।
লুৎফুল কবীরের তথ্যমতে, এই হত্যাকাণ্ডের পর ওয়াজি আহমেদ চৌধুরীর ফ্ল্যাট থেকে একটি এলইডি টিভি, একটি ল্যাপটপ, একটি মোবাইল ফোন সেট ও নগদ প্রায় চার হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান আহাদ। গতকাল বুধবার রাত পৌনে ১২টার দিকে মিরপুরের কালাপানি এলাকা থেকে আহাদকে গ্রেপ্তার করে র্যা ব।
র্যা ব-৪-এর অধিনায়ক বলেন, ৫ অক্টোবর সকালে বনানী ডিওএইচএসের ৪ নম্বর সড়কের ১৪৮ নম্বর বাড়ির দোতলার একটি ফ্ল্যাটে ওয়াজি আহমেদ চৌধুরীর লাশ পাওয়া যায়। তাঁকে হত্যার পর বেশ কিছু মালামাল নিয়ে ফ্ল্যাটের সব কক্ষ ও প্রধান ফটক তালা দিয়ে পালিয়ে যান আহাদ। এ ঘটনায় ওই সেনা কর্মকর্তার পরিবারের পক্ষ থেকে কাফরুল থানায় মামলা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যা বকে আহাদ জানান, প্রায় ১০ বছর আগে ওয়াজি আহমেদ চৌধুরীর বাসার কাজ শুরু করেন তিনি। এক বছর চাকরি করে বাড়ি চলে যান আহাদ। তবে ওয়াজি আহমেদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর। কয়েক মাস আগে মাসে ছয় হাজার টাকা বেতনে আবার ওই বাড়িতে চাকরি নেন তিনি। গুলশানে ওয়াজি আহমেদের স্ত্রীর আরেকটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ঘটনার আগের দিন ফুয়াদ মোটরসাইকেলে করে আহাদকে নিয়ে সেখানে যান। সেখানকার পার্কিংয়ে ফুয়াদ তাঁর মামার প্রাইভেট কারের সঙ্গে মোটরসাইকেলটি তালাবদ্ধ করেন। এ নিয়ে ভবনের তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে ফুয়াদের মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় এগিয়ে না আসার অভিযোগে আহাদকে পরে মারধর করেন ফুয়াদ। এ কারণে পরদিন তিনি ওয়াজি আহমেদ চৌধুরীর কাছে গিয়ে চাকরি ছেড়ে চলে যাবেন বলে জানান। একই সঙ্গে বেতন পরিশোধ করতে বলেন। বেতন দিতে না চাইলে প্রথমে রশি দেখিয়ে হত্যার ভয় দেখান তিনি। এ সময় ওই সেনা কর্মকর্তা ‘ডাকাত’ ‘ডাকাত’ বলে চিৎকার করেন। তখন ওয়াজি আহমেদকে তাঁর নিজ কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করেন আহাদ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: শিব্বির আহমদ ওসমানী [এমএ, এলএলবি (অনার্স), এলএলএম] যোগাযোগ: বনকলাপাড়া রোড, সুবিদবাজার, সিলেট- ৩১০০। ই-মেইল: damarbangla@gmail.com ফোন: ৭১৪২৭১, মোবাইল: +৮৮ ০১৭১৪৪৫৭৭৯২ www.dailyamarbangla.comCopyright © 2024 Daily Amar Bangla. All rights reserved.