খালেদার অসমাপ্ত বক্তব্য ১৬ ফেব্রুয়ারি

0
488
blank

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেওয়ার জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। হাজিরা দিতে বৃহস্পতিবার আদালতে যাওয়ার কথা থাকলেও খালেদা জিয়া সময় আবেদন করলে তা মঞ্জুর করে ১৬ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়।
ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদ্দার আসামি পক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য দেওয়ার নতুন এ দিন ধার্য করেন। এ দিন মামলাটি উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন শুনানির অপেক্ষায় থাকায় অসমাপ্ত বক্তব্য মূলতবি রাখার জন্য সময়ের আবেদন করেন খালেদার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন, খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছ চৌধুরীর তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলা তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
এ ছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা সাফাই সাক্ষী গ্রহণের দিন ধার্য্য রয়েছে ৯ ফেব্রুয়ারি। গত বৃস্পতিবার বিচারক আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্নার সাফাই সাক্ষী শোনার জন্য এই দিনটি ধার্য্য করেন। ওই দিন আদালত খালেদা জিয়ার বক্তব্য শুনতে চাইলে তিনি বক্তব্য দেননি। বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছিলেন তিনি।
এদিকে, বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন খালেদা জিয়া। আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি মামলাটি বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও ‍বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন খালেদার আইনজীবী।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন আর রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী (পলাতক) ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান (পলাতক)।