খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন ফের ১৫ ডিসেম্বর

0
464
blank

ঢাকা: জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসমাপ্ত বক্তব্য উপস্থাপনে নতুন তারিখ দিয়েছে আদালত। হাই কোর্টে খালেদার করা একটি আবেদন বিচারাধীন থাকার কারণ দেখিয়ে বৃহস্পতিবার খালেদার পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়।

খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে শুনানি নিয়ে ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার ১৫ ডিসেম্বর নতুন দিন ঠিক করে দেন।

বিচারক ওইদিন সাফাই সাক্ষীর তালিকাও দিতে বলেছেন।

পুরান ঢাকার বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তরের মাঠে এই আদালতে জিয়া দাতব্য ও জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাত মামলার শুনানি চলছে। সবশেষ শুনানি হয় গত ১ ডিসেম্বর।

ওইদিন খালেদা জিয়া এ মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনে ১০-১৫ মিনিটের মতো বক্তব্য দিয়েছিলেন। ওই দিন তাকে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পড়ে শোনানো হয়।

এছাড়া জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের মামলায় খালেদার ছেলে তারেক রহমানের আইনজীবী বোরহান উদ্দিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশিদকে আংশিক জেরা করেছিলেন।

আত্মপক্ষ সমর্থনে অসমাপ্ত বক্তব্য দিতে বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে আদালতে হাজির হন বিএনপিপ্রধান। তবে তিনি কোনো বক্তব্য দেননি।

সাক্ষ‌্যগ্রহণের ক্ষেত্রে শপথ আইন ‘না মানার’ কারণ দেখিয়ে ফের সাক্ষ‌্য নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে খালেদার করা একটি আবেদন ১ ডিসেম্বর খারিজ করে হাই কোর্ট। গত সপ্তাহে ওই আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন খালেদার আইনজীবী।

বিষয়টি এখনও বিচারাধীন জানিয়ে খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি পেছানোর আবেদন করেন তার আইনজীবী। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এর বিরোধিতা করেন।

“হাই কোর্ট যদি বলে ৩২ জনের জেরা আবার নিতে হবে, তাহলেও আমি তা নেব,” একথা বলে বিচারক আদেশ দেন।

শুনানি শেষে খালেদা পৌনে ১টার দিকে এজলাস থেকে বেরিয়ে যান।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ২০১০ সালে দায়ের হওয়া এ মামলায় মোট ৩২ জনের সাক্ষ‌্যগ্রহণ হয়েছে।

খালেদা জিয়া ছাড়া অভিযুক্ত অপর আসামিরা হলেন- বিগত চারদলীয় জোট সরকার আমলে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এদের মধ‌্যে জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।