খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: মির্জা ফখরুল

0
697
blank

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তির ৯মবার্ষিকী আগামীকাল রোববার। এক-এগারোর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। ২০০৮ সালের এই দিনে এক বছরেরও বেশি সময় কারাভোগের পর মুক্তি পান তিনি। বিএনপি এই দিনটিকে খালেদা জিয়ার করামুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে এক বিবৃতিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশা প্রকাশ করে বলেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।

খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কতিপয় কুচক্রির হাতে নির্মমভাবে শহীদ হওয়ার পর ষড়যন্ত্রকারীরা জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণের কেড়ে নেয়া অধিকার পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্যে শহীদ জিয়ার জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের রাজনীতির পতাকাকে উড্ডীন করে খালেদা জিয়া রাজনৈতিক মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেই থেকে খালেদা জিয়া দেশের সব অগণতান্ত্রিক দেশবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে অবিরাম লড়াই অব্যাহত রেখেছেন। জাতীয় স্বার্থক্ষার প্রশ্নে খালেদা জিয়ার অবিচল সংগ্রামকে কোনো শক্তিই পরাভূত করতে পারেনি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘ নয় বছরের স্বৈরাচারবিরোধী নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলন করে তিনি দেশে সাংবিধানিক গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা পুন:প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ফখরুল বলেন, ১১ জানুয়ারি ২০০৭ সালে সংবিধানবহির্ভূত পন্থায় ক্ষমতা দখলকারীরা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য নতুন খেলায় মেতে উঠেছিল। তখন মাইনাস টু তত্ত্বসহ নানাবিধ অপকৌশল অবলম্বন করে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করে তার প্রিয় স্বদেশ ও জনগণের কাছ থেকে সরিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনে সব কুটকৌশল ব্যর্থ হয়ে যায়।