খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে যুক্তরাজ্য বিএনপির বিক্ষোভ

0
1215
blank
blank

blankস্টাফ রিপোর্টারঃ

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার, কারাগারে বন্দী বিএনপির সকল নেতা-কর্মীর মুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে যুক্তরাজ্য বিএনপি। জানাযায়, গত ৪ মার্চ সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্ট হাউজের সামনে এই বিক্ষোভ কর্মসূচীর ডাক দেয় যুক্তরাজ্য বিএনপি।
বিক্ষোভ সমাবেশে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে যুক্তরাজ্য বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী অংশ গ্রহণ করেন। দলীয় নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্লেকার্র্ড, ব্যানার, ফেস্টুন প্রদর্শন করেন। বিক্ষোভ শেষে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এমএ মালিক এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় সভাপতির বক্তব্যে এমএ মালিক বলেন, “মাদার অফ ডেমোক্রেসি” বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করে গত এক বছর যাবত বিনা কারণে সরকার প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে নির্জন কারাগারে বন্দী করে রেখেছে। সরকারি দলের লোক হলে চিকিৎসা সেবা পাবেন, প্রয়োজনে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিদেশ থেকে চার্টার করে চিকিৎসক হাজির করবেন। কিন্তু বিরোধী দলের লোক হলে ন্যুনতম চিকিৎসা পাবেন না। এই দ্বৈতনীতি দেশে চালু করেছে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার। সুচিকিৎসার অভাবে দেশনেত্রীর শারীরিক অবস্থার আজ চরম অবনতি ঘটছে। সরকার তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাই অনতিবিলম্বে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নি:শর্ত মুক্তি দাবী জানানো হয়েছে। একই সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর থেকে সকল রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ সারা দেশের বিভিন্ন কারাগারে অন্যায়ভাবে কারান্তরীণ বিএনপির নেতা-কর্মীদের মুক্তি দাবী করে এম এ মালিক বলেন, মহাভোট ডাকাত এই স্বৈরাচারী সরকার দেশের ভোটের অধিকারকে হরণ করে দেশ এক দলীয় শাসন কায়েম করেছে।
উল্লেখ্য-যুক্তরাজ্য বিএনপি বিগত এক বছর যাবত বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার সহ দেশে গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনার দাবীতে প্রায় প্রতি সপ্তাহে ব্রিটেনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক ভেন্যুতে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আসছে। এতে সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের দুর্নীতি, ডাকাতি, ধর্ষণ, অত্যাচার নির্যাতনে দেশের মানুষ আজ দিশেহারা। একাদশ সংসদ নির্বাচনে মহাভোট ডাকাতির মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণ ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। সদ্য অনুষ্ঠিত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে প্রমানিত হয়েছে দেশের জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং গণতন্ত্র পূনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশে-বিদেশে ব্যাপক গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় তিনি বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে অনতিবিলম্বে তাঁর সুচিকিৎসা ও নি:শর্ত মুক্তি দাবী করেন। তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দেশবাসীকে রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সহসভাপতি গোলাম রাব্বানী, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ খান, কামাল উদ্দিন, সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক আজমল চৌধুরী জাবেদ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামিম আহমেদ, যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র নেতা মেসবাউজ্জামান সোহেল, লন্ডন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবেদ রাজা, যুবদলের সভাপতি রহিম উদ্দিন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, মহিলা দলের সদস্য সচিব অঞ্জনা আলম, বিএনপি নেত্রী অপর্ণা রায় নন্দী, যুক্তরাজ্য যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাসিত, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল হামিদ খান হেভেন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আবু নাসের শেখ, সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক সেলিম আহমেদ, সাবেক সহ ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সরফরাজ আহমেদ সরফু, সাউথ ইস্ট বিএনপির সভাপতি সালেহ আহমেদ জিলান, এনফিল্ড বিএনপির সভাপতি হেলাল উদ্দিন, সাসেক্স বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, ইস্ট লন্ডন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম লিটন, লন্ডন মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল হোসেন মৃধা, মো: মঈনুল ইসলাম, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, শাকিল আহমদ, জামাল হোসেন, ফজলে রহমান পিনাক, আব্দুল হক শাওন, এ, কে, এম, নেছার উদিদন, পটল মিয়া, মুজিবুর রহমান, মোঃ রাজিব হোসেন, গোলজার আহমদ, কাজী মুনীর হাসান, মোঃ তোফায়েল আহমদ, যুক্তরাজ্য জাসাস সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হোসেন আলম, জাসাস নেতা নুরে আলম জাহাঙ্গীর, মোঃ মাহবুবুল আলম, জোবায়েল আহমেদ, মো: আশরাফুল আলম, মোঃ রিফাত হোসেন চৌধুরী, নাজিয়া আকবর, মো: সাব্বির, এনামুর রহমান এনু, সুমন আহমদ, হোসেন আহমদ, জাহিদুল ইসলাম, আহমেদ শওকত রানা রাজু, মোঃ করিম চৌধুরী, মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ করিম মিয়া, ইস্ট লন্ডন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নুর এ আলম সোহেল, আকলিমুর রাজা চৌধুরী, যুবদলের সহসভাপতি দেওয়ান আব্দুল বাছিত, সহদপ্তর সম্পাদক কাজী তাজ উদ্দিন আহমেদ আকমল, মোঃ মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া, প্রবাসী কল্যান বিষয়ক সম্পাদক যুক্তরাজ্য যুবদল নেতা মো: মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক শেখ সাদেক আহমেদ, সৈয়েদ বদরুল হোসেন, পারভেজ কবির, আব্দুস সামাদ রাজ, সাংবাদিক আহসানুল আম্বিয়া শোভন, আশিকুল ইসলাম, সফিউল আলম মুরাদ, আব্দুল কাদির জিলানী, মো. ফয়েজ উল্লাহ প্রমূখ।