ঢাকা: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া যে ভাবে পাকিস্তানের সাথে তাল মিলিয়ে কথা বলেছেন তাতে বোঝা যায় তিনি পাকিস্তানি। তিনি বলেন, পাকিস্তান যে ভাষায় কথা বলে, বেগম খালেদা জিয়াও ঠিক একই ভাষায় কথা বলেন। পাকিস্তান প্রথমে বলল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সঠিক হচ্ছে না, কয়েক দিন পর খালেদা জিয়াও বললেন এই বিচার সঠিক ভাবে হচ্ছে না। এ থেকেই বোঝা যায় তিনি পাকিস্তানি। বৃহষ্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসটিতে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাকের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক স্মৃতি সংসদ এই স্মরণ সভার আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এমপি, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু ও পীর হাবিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে বেগম জিয়াকে বিভিন্ন পুস্তক পাঠ করার পরামর্শ দিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়া শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এটা পাকিস্তানিদেরও প্রশ্ন। আসলে কোন কিছু সঠিকভাবে জানতে হলে লেখা পড়া করতে হয়। তিনি বলেন, সারাবিশ্ব বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকৃতি দিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েছে। অথচ বিএনপি নেত্রী এ দেশের শহীদদের নিয়ে বিতর্ক তুলেছেন। তিনি শহীদদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। খালেদা জিয়া ইচ্ছা করে দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে তিনি পাকিস্তানের অনুচর। সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, যখন তরুণ প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দিকে ঝুঁকে পরেছেন তখন বেগম খালেদা জিয়া শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বেগম জিয়া অপনি কি বলতে পারবেন, কয়টা শূন্য দিয়ে লাখ লিখতে হয়? আপনাকে পাকিস্তান বলছে এই কথা বলতে হবে, আপনি তাই বলেছেন। আব্দুর রাজ্জাকের স্মৃতিচারণ করে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, তিনি একজন আদর্শবান ও পরিশ্রমী নেতা ছিলেন। সকলের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন। মৃত্যুর দিন পর্যন্ত তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করে গেছেন।