গণজাগরণ গড়ে তোলার টাইম চলে এসেছে : ড. কামাল

0
551
blank
blank

ঢাকা : গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, যে ছয় দফা এগার দফা নিয়ে গণ জাগরণের মাধ্যমে যুদ্ধ হয়েছিল এবং আমরা জয়ীই হয়েছিলাম, মানুষের মধ্যে সে ধরণের একটি গণজাগরণ গড়ে তোলার হাই টাইম চলে এসেছে।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঐকবদ্ধ ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদাদুল্লাহ মধু। সভাপতিত্ব করেন ঐকবদ্ধ ছাত্র সমাজের সভাপতি আজম রূপু।

কোটা সংস্কার,নিরাপদ শিক্ষাঙ্গন, নিরাপদ সড়ক ও বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের ভবিষ্যত’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, আলাপ আলোচনা হচ্ছে। তিনি প্রস্তাব রাখেন দেশের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলাপ আলোচনা হতে পারে। কেননা ন্যায় নীতির ভিত্তিতে একটা দেশ হবে এটা বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ছিল। থাকবে সহঅবস্থান । কেউ সব কিছু আত্মসাৎ করে নিবে না। মন খুলে আলেচনা কবর এটাই হল গণতন্ত্র।

তিনি বলেন, নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। জনগণের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করলে ঐকমত্যে আসা কঠিন না। স্বপ্নের বাংলাদেশ অবশ্যই হবে যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকি। ঐকবদ্ধ হওয়ার কথা যখন বলি তখন একদলীয় শাসন না।

তিনি বলেন, একভাগ যারা কিছু না দিয়ে পাচার করে ফেলে তাদেরকে আসুন আমরা একঘরে করে ফেলতে পারি। তিনি বলেন, বিশ্বদ্যিালয়গুলিতে যদি দলীয় ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় তা হলে উচ্চ শিক্ষার মান নষ্ট হয়ে যায়। তবে অল্প কয়েক দিনে দেশের তরুণরা যা দেখাল তাতে আমি আশাবাদি। দেশের সামনে অবশ্যই উজ্জ্বল ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে।

ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে আন্দোলনকারীদের কেউ পরাজিত করতে পারবে না।সবাই ঐকবদ্ধ থাক্ল কেউ কাউকে পরাজিত করতে পারবে না। তিনি বলেন, সুস্থ রাজনীতি না থাকলে চাটুকারের মুল্য বাড়ে। বেশি চালাকদের ধবংস অনিবার্য। কথায় কথায় যারা নিজেদের বেশি চালাক মনে করে তাদের পরিনতি ভয়াবহ।

এতে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটার বাড়ানোর পাশাপাশি জয়লাভ করার জন্য। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এত নির্বাচন হচ্ছে অথচ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের খবর নেই।

সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফজলুর রহমান বলেন, কোন কিছু পাওয়ার আশা করে মুক্তিযদ্ধে যাইনি। দেশকে একটি সত্যিকারার্থে উন্নত দেশ হিসাবে গড়ে তোলার জন্য জান বাজি রেখে যুদ্ধ করেছি।

ডাকসু’র সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ বলেন ,ভোট চোরের সরকাওে কাজে জাতি ভালো কিছু আশা করতে পারে না। এত আরো বক্তব্য রাখেন গণফোরাম নেতাদের মধ্যে আওম শফিক উল্লাহ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, ঐক প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ.ব.ম মোস্তফা আমীন। এবং ছাত্র নেতাদের মধ্যে রবিউল ইসলাম রবি, বিনে আমীন মোল্লাহ প্রমুখ।