গতবারের মতো এবারো পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়নি: শিক্ষামন্ত্রী

0
569
blank
blank

ঢাকা: গতবারের মতো এবারো জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় কোনো প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। যারা প্রশ্ন ফাঁসের কথা বলছেন, তারা গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। রবিবার সকালে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার প্রথম দিনে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ সময় তার সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী পরীক্ষার্থীদের অসুবিধার কথা ভেবে কেন্দ্রে না ঢুকে কেন্দ্রের বাইরে পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিবাবকদের সঙ্গে কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, জেএসসি পরীক্ষা কোনো পাবলিক পরীক্ষায় নয়। এটি একটি জাতীয় পরীক্ষা। শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করতে এ পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। একইভাবে পিএসসি পরীক্ষাও নেওয়া হচ্ছে। এসব পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঝরে পড়া রোধ ও শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করাটাই আমাদের লক্ষ্য। অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জেএসসি পরীক্ষার ফলে সারা দেশে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। এ পরীক্ষায় ফার্স্ট-সেকেন্ড হওয়াটা মুখ্য নয়। তাই অভিবাবকদের উদ্দেশে বলতে চাই যে, আপনারা বাচ্চাদের ওপর কোনো চাপ দেবেন না। ওদেরকে ওদের মতো করে পড়তে দিন। পাঁচ-ছয়টা করে শিক্ষকের কাছে পড়িয়ে ওদের ওপর চাপ ফেলবেন না।

এ বছরের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৩৩ জন। এর মধ্যে জেএসসি পরীক্ষায় ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৪৪৭ ও জেডিসিতে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪৮৬ জন অংশ নেবে। আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এ পরীক্ষা। ২০১৪ সালে এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ২০ লাখ ৯০ হাজার ৬৯২ পরীক্ষার্থী। সেই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে দুই লাখ ৩৫ হাজার ২৪১ জন। এবার ২৬২৭ কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৬৩২ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেবে। গত বছর ১৮০৩ কেন্দ্রে ১৮ হাজার ৮১৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষা দিয়েছিল। বিদেশের আটটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৮৫।

এবারের পরীক্ষায় জীবন ও কর্মমুখী শিক্ষা নামে নতুন বিষয়ে পরীক্ষা হচ্ছে। এই পরীক্ষায় এমসিকিউ প্রশ্ন উত্তরপত্রের মধ্যেই থাকবে। তাতে কেবল টিকচিহ্ন দিতে হবে। শ্রবণপ্রতিবন্ধীসহ অন্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা এবারও অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে। এ ছাড়া দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পলসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই তারা শ্রুতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে।

প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রালপলসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকছে। এ পরীক্ষায় বহু নির্বাচনী ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে দুটি বিভাগ থাকলেও দুটি অংশ মিলে ৩৩ পেলেই পাস বলে গণ্য হবে, অর্থাৎ এসএসসির মতো দুটি অংশে আলাদা আলাদা পাসের প্রয়োজন থাকছে। এ ছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি রয়েছে এমন ৫০০ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবার জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।