গৃহবধুর স্বাভাবিক মৃত্যুকে অস্বাভাবিক করে এনজিও কর্মীর পরিবারের উপর হামলা

0
522
blank

নিজস্ব সংবাদদাতা: একজন গৃহবধুর স্বাভাবিক মৃত্যুকে অস্বাভাবিক করে এক এনজিও কর্মীকে প্রাণ নাশের হুমকী প্রদান ও তার পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রান ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এনজিও কমী হাজেরা ও তার পরিবার। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ থানার অন্তর্গত কটালপুর গ্রামের মিয়া ফখনের স্ত্রি এনজিও কর্মী হাজেরা বেগম। সে ‘নুসরা’ নামক এনজিও সংস্থায় মাঠকর্মী হিসেবে কর্মরত। এলাকার বিভিন্ন গ্রামের প্রান্তিক শ্রেনীর মহিলাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা সম্পর্কে পরামর্শ প্রদানের কাজ করে আসছেন।

গত ১২/১২/২০১৭ ইং তারিখে পাশ্ববর্তী ইলাশপুর গ্রামের ১১ সন্তানের জননী আসমা বেগম আর সন্তান নিতে না চাইলে কি ব্যবস্থা আছে এ বিষয়ে হাজেরার কাছে পরামর্শ চান। হাজেরা তখন আসমা -কে একটি অনুমােদিত জন্মনিরোধকপিল খাওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। এ ঘটনার আট দিন পর আসমা বেগম অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।

ডাক্তার রোগী হার্ট এ্যাটাকে মারা গেছে বলে জানালেও মৃতার ভাইয়েরা তা মানতে নারাজ। তাদের ধারনা হাজেরা বেগমের পরামর্শে তাদের বােন আসমা জন্মনিরােধক পিল খেয়ে মারা গেছে।

আসমার ভাইয়েরা ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী লোক। তারা হাজেরার স্বামী মিয়া ফখনের বাড়িতে হামলা করে। এসময় ফখন বাধা দিলে আক্রমনকারীরা পিটিয়ে মারাত্বক আহত করে ফখন ও তার ভাইদের। হামলা করে ফেরার পথে হাজেরা কে প্রানে হত্যার হুমকী প্রদান করে ।

হুমকী পেয়ে প্রানের ভয়ে স্বামী সন্তান নিয়ে রাতের আধারে পালিয়ে যায় ‘নুসরা’ এনজিওর মাঠকর্মী হাজেরা বেগম। এ ব্যাপারে হাজেরার পরিবারবর্গের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কােনো কথাই বলেনি। ভয়ে তাদের মুখ বিবর্ন ফ্যাকাশে হয়ে গেছে। এ রিপাের্ট লেখা পর্যন্ত হাজেরা কে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে বলে জানা গেছে।