গ্রেফতার-আটক বন্ধের আহ্বান হিউম্যান রাইটস ওয়াচের

0
509
blank
blank

বাংলাদেশে বিরোধী দল বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঢালাওভাবে গ্রেফতার বন্ধ করা উচিত বলে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

বৃহস্পতিবার বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার রায়ের আগে সারা দেশে শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীকে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দেয়া উচিত বাংলাদেশের সরকারের।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এশিয়ার পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস এক বিবৃতিতে বলেন বিরোধী দলকে আন্দোলনে বাধা দিয়ে মতপ্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের অধিকার খর্ব করছে বাংলাদেশ সরকার।

তিনি আরো বলেন, সব রাজনৈতিক দলের নেতাদেরই তাদের সমর্থকদের সহিংসতায় না জড়াতে সতর্ক করা উচিৎ। একইসাথে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও ধৈর্যশীল থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

অর্থ আত্মসাৎ মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে কারাদণ্ডসহ আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে নিষিদ্ধ হতে পারেন খালেদা জিয়া।

রায়কে কেন্দ্র করে তার সমর্থকরা বিক্ষোভ করতে পারে এমন আশঙ্কায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে সারাদেশে। সব ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ও বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, এর আগে বিরোধী দলের আন্দোলনের সময় অগ্নিকাণ্ড,হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে বাংলাদেশের নিরাপত্তারক্ষাকারী বাহিনী বিরোধী দলের সমর্থকদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করে। শতাধিক ব্যক্তিকে গুম করারও অভিযোগ আনা হয় নিরাপত্তারক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে।

৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া সরকারের বিরুদ্ধে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ করেন। তবে দলের সমর্থকদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার নির্দেশ দেন তিনি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রশাসনিক নির্দেশের মাধ্যমে বিরোধী দলের প্রতিবাদের অধিকার হরণ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র জানিয়েছে গত আটদিনে সারাদেশে ১৭৮৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রায়কে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকরা সহিংসতা ছড়াতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

শক্তি ও আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারে জাতিসংঘের মৌলিক আইন মেনে চলার জন্য নিরাপত্তারক্ষাকারী বাহিনীকে সুষ্ঠ নির্দেশনা দেয়ার জন্য বাংলাদেশের সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পক্ষ থেকে।

বিরোধী দলের বিরুদ্ধে এমন অবস্থান নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সরকার হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের দাবীকে বিতর্কিত করছে বলে মনে করেন ব্র্যাড অ্যাডামস।

তিনি বলেন, সহিংসতা রোধ করা সরকারের দায়িত্ব হলেও তা জনগণের মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান রেখে সম্পাদন করা উচিত।