চবি ছাত্রলীগের ধর্মঘটে যানচলাচল বন্ধ

0
693
blank
blank

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের ছয় কর্মীর বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা দায়ের করায় অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একাংশ। ধর্মঘটের প্রথমদিনেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে শাটল ট্রেন। কেটে দেয়া হয়েছে কয়েকটি বগির হোস পাইপ। এছাড়া শিক্ষকদের বাস, ক্যাম্পাসে অভ্যন্তরে সিএনজি, অটোরিকশাও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

রোববার সকাল থেকেই শাখা ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক দুই ( বিজয় ও সিএফসি) পক্ষের ৬ কর্মীর মুক্তির দাবিতে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে ধর্মঘট পালন করছেন। এদিকে গতকাল শনিবার থেকে দুই দফা দাবিতে আন্দোলনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ পেইজে বার্তা দিতে দেখা যায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের। তবে সুনির্দিষ্ট কোন প্রেস ব্রিফিং করেননি আন্দোলনকারীরা। ফলে আন্দোলন ঘোষণা শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেই সীমাবদ্ধ ছিলো।

দুই দফা দাবি হলো- সম্প্রতি অস্ত্র মামলায় কারাগারে থাকা ছয় ছাত্রলীগ কর্মীর মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার ও ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার।

এ বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, আমরা দুই দফা দাবিতে শান্তিপূর্ণ ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি এবং সেটা পালন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

এদিকে আন্দোলনকারীদের বাধার মুখে সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে বন্ধ রয়েছে রিকশা সিএনজিসহ সকল ধরনের যানচলাচল। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ মার্চ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুপক্ষ। ঘটনার পর দুটি হলে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় সংগঠনটির ছয় কর্মীকে। পরে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দেয় পুলিশ।

মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতারদের মুক্তিসহ চার দফা দাবিতে ধর্মঘট ডাকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের একাংশ।