চলতি বছরে ৭৮৭ নারী ও শিশু ধর্ষণ

0
562
blank
ফাইল ছবি
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সাম্প্রতিক বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার-(বিএমবিএস) এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সংস্থাটির তথ্য মতে, চলতি বছরের ১২ মাসে ৭৮৭ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে নারী ৩১৬ জন, শিশু ধর্ষণের শিকার হয় ৩২৭ জন, গণ ধর্ষণের শিকার হয় ১১৬ এবং ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ২৮ জনকে। এর আগে ২০১৬ সালে ধর্ষণের শিকার হয় ৪০৭ জন নারী ও শিশু। এদের মধ্যে ১৪১ জন নারী ধর্ষিত হয়, গণধর্ষণের শিকার হয় ৭৭ জন ও ধর্ষনের পর হত্যা করা হয় ৩৩ জনকে। এ বছর ১৫৬ জন শিশু ধর্ষিত হয়েছে।

সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সিগমা হুদা বলেন, বর্তমান সময়টা যেন আমাদের দেশে ধর্ষকদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলছে। ধর্ষণকারীরা এতটাই সাহস পাচ্ছে যে, ধর্ষণের পর হত্যা করতেও তারা দ্বিধাবোধ করছে না, গবেষণায় আমরা দেখতে পাচ্ছি যে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনাও দিন দিন বেড়ে চলছে। নারীদেরকে নিরাপদ একটি সমাজ না দেয়ার ব্যার্থতা সরকারসহ আমাদের সবাইকেই নিতে হবে। এ অবস্থার উত্তরনের জন্য সকলকে এক হয়ে কাজ করার বিকল্প নেই। আইনের শাসন আমাদের রয়েছে, তবে নেই তার বাস্তবায়ন। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান বাস্তবায়ন করলেই আগামী বছরগুলোতে আমাদের দেশে ধর্ষণ অনেকাংশে কমে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।

সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা সোহেল বলেন, সংস্থার গবেষণায় আমরা দেখেছি গত বছরের তুলনায় এ বছর ধর্ষণের ঘটনা অনেক বেশী। ধর্ষণ দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ ধর্ষকের কঠিন শাস্তি না হওয়া। তাছাড়া বিচার কার্য বেশ বিলম্বিত হয় বলে ধর্ষিত নারী ও তার পরিবারকে সম্মুখীন হতে হয় বিভিন্ন মানসিক ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতার। অনেক সময় ধামাচাপা পরে যায় ধর্ষণের ঘটনা। এ বিষয়ে সকল সামাজিক সংগঠন গুলোকে এক হয়ে কাজ করা আহ্বান জানান তিনি।