চাঁপাইনবাবগঞ্জের জঙ্গি আস্তানায় নিহত ৪

0
498
blank

রাজশাহী : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় জঙ্গি আস্তানায় চারজন নিহত হয়েছে। নিহত চারজনই পুরুষ। এরা সকলে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মারা গেছে। এদের একজন আবুল কালাম আজাদ ওরফে আবু ওরফে রফিকুল ইসলাম। তিনি এই বাড়িতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে থাকতেন। অন্যদের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এম এম খুরশীদ হোসেন বিকেলে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, যে চারটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তারা সকলে আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিহত হয়েছেন। আর আবুর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও শিশুকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধারের চেষ্টা চালানোর কারণে অপারেশন শেষ হতে অনেকটা সময় লেগেছে। নিহত অন্য তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত করেননি তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ওই বাড়ির ভেতর থেকে আবুর মেয়ে নূরী (৭) ও বিকেল ৫টার দিকে স্ত্রী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা সুমাইয়াকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সোয়াতের সদস্যরা। এর মধ্য দিয়ে দুই দিন ধরে চলা ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে বিকেল সোয়া ৪টার দিকে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে শেষবারের মতো আহ্বান জানায় পুলিশ। তখনও এ আহ্বানে কেউ সাড়া দেয়নি। পুলিশের আহ্বানের পর এক পর্যায়ে জঙ্গি আস্তানা থেকে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।

বুধবার ভোরে শিবগঞ্জ উপজেলার ত্রিমোহনী গ্রামের এই বাড়িটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। সেখানে জঙ্গিদের অবস্থানের খবর পেয়ে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার মুজাহিদুল ইসলাম।

শিবনগর-ত্রিমোহনী গ্রামে আমবাগান ঘেরা এই বাড়িটি পুলিশ ঘেরাও করার পর সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে অভিযান চালায় পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী সোয়াতের সদস্যরা। কিন্তু দুই ঘণ্টা পর ‘অপারেশন ঈগল হান্ট’ স্থগিত করেন তারা। রাতের বিরতির পর সকাল ৯টার দিকে ফের অভিযান শুরু হয়। অভিযান শুরুর পর ঘণ্টাখানেক গুলির শব্দ শোনা যায়। সকাল ১০টা ৬ মিনিটে বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল।