চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্তে আইন হচ্ছে: আইনমন্ত্রী

0
507
blank

ঢাকা: সাজাপ্রাপ্ত ও চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে এ সংক্রান্ত একটি আইনের খসড়া প্রস্তুতকরণে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন আগে থেকেই মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিতদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় বিষয়টি সম্ভব হচ্ছে না। রবিবার দুপুরে বাংলা একাডেমিতে ‘মানুষের জন্য মানবাধিকার পদক-২০১৬’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা করেন। মানবাধিকার সংগঠন ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস-২০১৬ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আনিসুল হক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় সরকার মানবাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তারপরও মানবাধিকার লংঘনের মত কিছু ঘটনা ঘটছে। ওই ধরণের ঘটনায় আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন এবং যারা স্বাধীনতা বিরোধী তাদেরই হাত রয়েছে। মানবাধিকার রক্ষায় আমাদের সকলের সচেষ্ট থাকতে হবে। যাতে এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’
তিনি আরও বলেন, নাসিরনগরসহ দেশের অন্যান্য স্থানে যারা সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে। এমন শাস্তি দেওয়া হবে যাতে সবাই জানে এ ধরণের কাজ করলে ওই শাস্তি হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন স্থানের ১০ জনকে মানবাধিকার পদক দেওয়া হয়। পদকপ্রাপ্তরা হলেন- টাঙ্গাইল করটিয়ার মোছা. রাজেদা আক্তার, দিনাজপুর সদরের সাবিনা ইয়াছমিন, কিশোরগঞ্জ বাজিতপুরের মোছা. চম্পা বেগম, দিনাজপুর চিরিরবন্দরের মমেজা বেগম, গাইবান্ধা সদরের অঞ্জলী রানী দেবী, বান্দরবান লামার উথোয়াইং গ্য মারমা, নেত্রকোনা আটপাড়ার মোছা. ফৌজিয়া নাসরিন, ঝিনাইদহ সদরের মোছা. আলেয়া বেগম, ঝিনাইদহ সদরের শ্যামলী বসু ও কুষ্টিয়া কুমারখালীর ফিরোজা বেগম।