ছাত্রদলের সভাপতি ও সম্পাদক হতে চান ৭৬ নেতা

0
601
blank
blank

ঢাকা: বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে ভ্যানগার্ড হিসেবে পরিচি ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য ১১০টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হলেও জমা পড়েছে ৭৬টি। সভাপতি পদে জমা দিয়েছেন ২৭ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে দুই নারীসহ ৪৯ জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছন।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছাত্রদলের নেতারা মনোনয়ন ফরম জমা দেন। এর আগে গত ১৭ ও ১৮ আগস্ট ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনে অংশ নিতে ১১০ জন মনোনয়নপত্র ফরম সংগ্রহ করে ছিলেন।

এবার সাধারণ সম্পাদক পদে দুই নারী মনোনয়নপত্রের ফরম জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- বদরুন্নেসা কলেজের নাদিয়া পাঠান পাবন এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডালিয়া রহমান।

সভাপতি প্রার্থী সদ্য বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির বৃত্তি ও ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই সংগঠনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে ও গণতান্ত্রিক পন্থায় ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির জন্য ষষ্ঠ কাউন্সিল এর যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এজন্য তাকে সাধুবাদ জানাই। আমি বিশ্বাস করি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান ছাত্রদলের কাউন্সিল পরিচালনার জন্য যে সকল সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে দায়িত্ব দিয়েছেন তা কোন বলয়ের প্রভাবে প্রভাবিত না হয়ে তাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন এবং ছাত্রদলের তৃণমূলের কাউন্সিলর নির্বিঘ্নে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে সক্ষম হবে।

সভাপতি প্রার্থী বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহসম্পাদক মামুন খান বলেন, গণতন্ত্রের মাতা আপোষহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন গতিশীল এবং দেশ নায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করাই আমার লক্ষ্য।

সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থী সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাত্র দলের কমিটি নিয়ে যেই উদ্যোগ নিয়েছেন তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। আমি ভোটারদের সাথে কথা বলেছি যদি তারা সঠিক ভাবে ভোট প্রয়োগ করতে পারে তাহলে আমি নির্বচিত হবো। এর মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র পুণরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়া এবং দেশ নায়ক তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আন্দোলনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল যেন কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজ করতে চাই। যে কারণে আমি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদপার্থী প্রার্থী হয়েছি।

সভাপতি পদে মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন যারা

কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবন, মামুন খান, হাফিজুর রহমান, আশরাফুল আলম ফকির লিংকন, আসাদুল আলম টিটু, সর্দার আমিনুল ইসলাম সাগর, আজিম উদ্দিন মেরাজ, ইলিয়াস, সাজিদ হাসান বাবু, আল মেহেদি তালুকদার, মাহমুদুল হাসান বাপ্পি, তানভীর রেজা রুবেল, এরশাদ খান, এবিএম মাহমুদ আলম, এম আরজ আলী শান্ত, মো. সুরুজ মন্ডল, মো. আবদুল মাজেদ, মাইনুল ইসলাম, মো. ফজলুর রহমান, মুহাম্মদ ফজলুল হক নিরব, আরাফাত বিল্লাহ খান, এসএম আল আমিন, মো. জুয়েল মৃধা, আবদুল হান্নান, মো. শামীম হোসেন, এসএএম আমিরুল ইসলাম, সুলায়মান হোসাইন ও আল আমিন কাউছার।

সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়পত্র জমা দিয়েছেন যারা

সাইফ মাহমুদ জুয়েল, মোস্তাফিজুর রহমান, শাহনেওয়াজ, রিয়াজ মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, ওমর ফারুক শাকিল চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন রুবেল, আবদুল মান্নান, নাদিয়া পাঠান পাপন, এবিএম বাকির জুয়েল, মিজানুর রহমান শরীফ, মো. ওমর ফারুক, মো. হাসান (তানজিল হাসান), মো. আলাউদ্দিন খান, রাশেদ ইকবাল খান, আমিনুর রহমান, ইকবাল হাসান শ্যামল, ইমদাদুল হক মজুমদার, মো. নাইম হাসান, কেএম সাখাওয়াত হোসেন, এএএম ইয়াহইয়া, ডালিয়া রহমান, সোহেল রানা, মোহাম্মদ কারীমুল হাই নাঈম, মহিনউদ্দীন রাজু, আরিফুল হক, মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব, মো. আসাদুজ্জামান রিংকু, মো. আবুল বাশার, মো. মিজানুর রহমান সজীব, মো. জুলহাস উদ্দিন, মো. মিজানুর রহমান, মো. জাকিরুল ইসলাম জাকির, সাদিকুর রহমান সাদিক, আবদুল মোমেন মিয়া, কাজী মাজাহারুল ইসলাম, মো. আজিজুল হক সোহেল, শেখ মো. মশিউর, মো. জামিল হোসেন, শেখ আবু তাহের, মো. তবিবুর রহমান সাগর, মাজেদুল ইসলাম, মাহমুদুল আলম শাহিন, মো. জোবায়ের আল মাহমুদ রিজভী, নাজমুল হক হাবীব, জহিরুল ইসলাম (দিপু পাটোয়ারি), আনিসুর রহমান সুমন, এমএম বাবুল আক্তার শান্ত ও মুন্সি আনিসুর রহমান।

ছাত্রদলের নির্বাচন পরিচালনা কমিটি জানায়, ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের মনোনয়ন ফরম বাছাই চলবে ২২ থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৩১ আগস্ট এবং চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে ২ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারবেন ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর মধ্য রাত পর্যন্ত।

১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটে অংশ নেবেন সংগঠনটির সারাদেশের ১১৭টি ইউনিটের ৫৮০ জন কাউন্সিলর।