ছাত্রলীগের হামলায় আহত মাহমুদুর রহমান

0
534
blank
blank

কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়ায় আদালত এলাকায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। এর আগে আদালত এলাকায় দীর্ঘ সময় তাকে ঘিরে রেখেছিল ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা।

রবিবার বিকাল ৪টার দিকে আদালত থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে এ ঘটনা ঘটে। পরে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে যশোরের উদ্দেশে রওনা দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর আদালত এলাকা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। তার ওপর ব্যাপকভাবে ইট-পাথর বর্ষণ করা হয়। এতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন।

সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ কুষ্টিয়ার সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট শামীম উল হাসান অপু জানান, মানহানির একটি মামলায় জামিন নিতে রবিবার কুষ্টিয়া সদর জুডিশিয়াল ম্যাজেস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন মাহমুদুর রহমান। উভয় পক্ষের শুনানির পর বিচারক এম এম মোর্শেদে জামিন আদেশ দেন।

দুপুর ১টার দিকে তিনি সঙ্গীদের সাথে আদালত থেকে বের হওয়ার মুহূর্তে আদালত ভবনের প্রতিটি প্রবেশ দ্বারে ছাত্রীলীগের নেতাকর্মীরা আটকে দেয়। এসময় তিনি পুনরায় আদালতের এজলাসে আশ্রয় নেন। দীর্ঘ সময় একই পরিবেশ বিরাজ করায় তিনি আদালতকে বিষয়টি জানান। পরে লিখিতভাবে পুলিশ প্রেটেকশনের জন্য তিনি আবেদন করেন।

এসময় আদালতে মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী কুষ্টিয়া ব্যারের সিনিয়র আইনজীবি প্রিন্সিপাল আমিরুল ইসলাম, বিএফইউজে মহাসচিব এম আব্দুল্লাহ, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমীসহ অনেকে তার সাথে ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১লা ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল আয়োজিত আলোচনা সভায় আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকীকে নিয়ে কটূক্তিমূলক বক্তব্য দেন। সেই বক্তব্য বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়।

ইউটিউবে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষার সেই বক্তব্য দেখে বাদী হয়ে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করেন।

সেই মামলায় রবিবার মাহমুদুর রহমান আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করে স্থায়ী জামিন দেন।