ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি : গ্রেফতার ২

0
630
blank

টাঙ্গাইলের গোপালপুরে চতুর্থ শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণের পর তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ধর্ষকরা দুই লাখ টাকা দাবি করার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষকসহ পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে গোপালপুরের পাথালিয়া গ্রাম থেকে দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে উত্তর পাথালিয়া গ্রামের হাসান আলীর ছেলে মজনু (২৭) এবং তার সহযোগী জোছনা বেগম (৪০)। শুক্রবার সকালে তাদের টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়। মামলার অপর আসামী সোহাগ পলাতক রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাবা-মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ায় ওই মেয়েটি নানীর কাছে থেকে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। গত ১৬ এপ্রিল ওই ছাত্রী পাশের ফজলু মিয়ার বাড়ির ফ্রিজে রাখা দুধ আনতে যায়। ফজলু মিয়ার স্ত্রী জোছনা বেগমের যোগসাজশে একই গ্রামের হাসেন আলীর ছেলে মজনু এবং শামসুল হকের ছেলে সোহাগ ওই মেয়েটিকে ঘরে আটকিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একই সাথে ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে ফোনে ভিডিও করে রাখে। ধর্ষকরা প্রভাবশালী হওয়ায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় ওই ছাত্রীর দরিদ্র নানী ঘটনাটি চেপে যান। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গোপনে মেয়েটির চিকিৎসাও করান।
ধর্ষিতার মা অভিযোগ করে বলেন, ধর্ষকরা পুণরায় শিশু মেয়েটিকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বাড়িতে এসে হুমকি দেয়। এতে ওর স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে শিশুটিকে টাঙ্গাইল শহরের এক আত্মীয় বাড়িতে নিয়ে লুকিয়ে রাখি। ধর্ষকরা গত ৯ জুন ও মেয়েটির নানীর হাতে ধর্ষণের ভিডিও সম্বলিত মেমোরি কার্ড তুলে দেয় এবং দুই লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে এ ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখায়।
এ ব্যাপারে গোপালপুর থানার ওসি হাসান আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্ষিতার মা তিনজনকে আসামি করে গোপালপুর থানায় গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতে ধর্ষক মজনু এবং তার সহযোগী জোছনা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। অপর ধর্ষক সোহাগ পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের কাছে ঘটনা স্বীকার করেছে। শুক্রবার সকালে তাদেরকে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।