জগন্নাথপুরে ঠিকাদারদের অবহেলায় ১৪ সড়কের কাজ হচ্ছে না, জনদুর্ভোগ চরমে

0
483
blank
blank

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: ঠিকাদারদের গাফিলাতি ও অবহেলার কারণে জগন্নাথপুর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ১৪টি সড়কে এলজিইডির ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দে কার্যাদেশ প্রদান করা হলেও গুরুত্বপূর্ণ এসব সড়কগুলোতে কাজ হচ্ছে না। স্থানীয় সংসদ সদস্য অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানের সার্বিক সহযোগীতা ও নির্দেশে এসব সড়কে অর্থ বরাদ্ধ দিয়ে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে ঠিকাদারদেরকে কার্যাদেশ প্রদান করা হলেও ঠিকাদারদের গড়িমসির কারণে এসব সড়কে কাজ বাস্তবায়নে বিলম্ব হচ্ছে। তবে ঠিকাদারদের দাবি অতিবৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সড়কের কাজ করা যাচ্ছে না।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর জগন্নাথপুর উপজেলা দপ্তর সূত্র জানায়, শিবগঞ্জ-বেগমপুর সড়কে ৫ কোটি ১৬ লাখ ৪৭ হাজার টাকার ৮৪১ টাকা বরাদ্ধে কার্যাদেশ পায় লৌহজং নাসিম সুয়েব জে,বি কনষ্ট্রাকশন কিন্তুু এখ নপর্যন্ত তারা কাজ শুরু করেনি। সড়কটি ভাঙ্গনের কবলে পড়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে। ২৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ব্যয়ে ধাওরাই-শেওড়া রাস্তার কাজ পায় ধরমপাশার আনোয়ারা এন্টার প্রাইজ ৩ এপ্রিল তাদেরকে কার্যাদেশ দেয়া হলেও ঠিকাদার এলাকায় এখনো আসেননি। ৭৭ লাখ ১৫ হাজার ৭০৯ টাকা বরাদ্দে কাঠালখাইড়-ধাওরাই-জয়দা সড়কে ২এপ্রিল কার্যাদেশ প্রদান করা হলেও কাজ শুরু করেনি সুনামগঞ্জের হাসান এন্টার প্রাইজ। একই দিনে কার্যাদেশ পেয়ে হাসান এন্টার প্রাইজ সুনামগঞ্জ ১ কোটি ৩১ লাখ ২৮ হাজার ৯৭৫ টাকা বরাদ্দে গোঁতগাঁও বিশ^রোড থেকে স্বাধীনবাজার রাস্তায় কোন কাজ করেনি। ৭৩ লাখ টাকা ব্যায়ে ১৭ হাজার ১৯৮ টাকা বরাদ্দে প্রভাকরপুর নন্দির গাঁও সড়ক, ৯১ লাখ টাকা বরাদ্ধে রানীগঞ্জ- অনন্ত গোলাম আলীপুর সড়ক,১ কোটি ৫ লাখ ২২ হাজার ১০৮ টাকা বরাদ্ধে নয়াবন্দর বিদ্যালয় থেকে শংকপুর সড়ক, ৯৭ লাখ ৩২ হাজার ১৯০ টাকা ব্যায়ে জগন্নাথপুর-বিশ^নাথ-সড়ক হতে কাচন মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার কাজ শুরু করেনি,মজিদপুর-এরালিয়া সড়কে ৭১ লাখ ১৪ হাজার ৬৪৪ টাকা বরাদ্দ নিয়ে কার্যাদেশ পেয়েও হাসান এন্টার প্রাইজ কাজ করছেনা একইভাবে ১কোটি ২১ লাখ ২৮ হাজার ৯৭৮ টাকা বরাদ্দে কার্যাদেশ নিয়ে মাহবুব এন্টার প্রাইজ সুনামগঞ্জ শিবগঞ্জ বাজার ও রানীগঞ্জ সড়ক উন্নয়ণ কাজ ফেলে রেখেছে। ৮২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৩৬ টাকা বরাদ্দের লামাটুকের বাজার গড়গড়িকান্দি সড়কের কাজ ছাদ মিয়া এন্টার প্রাইজ কার্যাদেশ নিয়ে শুরু করেছে। ৪৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকা বরাদ্দের জেলা পরিষদ লহরী সড়কের কাজ পায় পরাগ এন্টার প্রাইজ। ২ এপ্রিল কার্যাদেশ ফেলে কাজ শুরুর খবর নেই। বৃষ্টির কারণে রাস্তায় পানি জমে থাকায় ভবের বাজার-–সৈয়দপুর রাস্তায় ৮ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫ টাকা ও দাওরাই মাঝপাড়া থেকে মধ্যপাড়া রাস্তার ১৭ লাখ ৬০ হাজার ৮৮৫ টাকা বরাদ্দের কার্যাদেশ পেলেও তালুকদার এন্টার প্রাইজ নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করতে পারছে না। এছাড়াও শিবগঞ্জ-বেগমপুর সড়কে ৫ কোটি ১৬ –লাখ ৪১ হাজার টাকা বরাদ্দে কাজ নেয় লৌহজং নাসিম সুয়েব জে,বি কনষ্ট্রাকশন। কিন্তু কাজ শুরুর কোন খবর নেই। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এসব নাজুক সড়কে প্রতিদিন মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
কার্যাদেশ নিয়ে কাজ শুরু না করা প্রসঙ্গে হাসান এন্টার প্রাইজ সুনামগঞ্জের ঠিকাদার মাহবুব হোসেন বলেন,কার্যাদেশ পাওয়ার পর থেকে অব্যাহত ঝড় বৃষ্টি প্রাকৃতিক বিপর্যয় চলছে। এবস্থায় কাজ করার কোন সুযোগ নেই। বৃষ্টি কমলে বর্ষা মৌসুমের পর সব কটি সড়কের কাজ শেষ করা হবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন,টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করে ঠিকাদারদেরকে কার্যাদেশ দিয়ে কাজ শুরু করার জন্য অনুরোধ করছি। কিন্তুু তারা কাজ শুরু না করলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমাদের কিছু করার থাকে না।
এলজ্ইিডির সুনামগঞ্জের সহকারী প্রকৌশলী ইব্রাহিম মিয়া বলেন, জগন্নাথপুরের সড়কগুলোর কাজ শুরু করতে ঠিকাদারদেরকে আমরা তাগদা দিচ্ছি। বৃষ্টি কমলে কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদাররা কাজ শুরু করবে।

আলী আসগর
তারখি-১৩-০৮-১৭