জগন্নাথপুরে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় উত্তেজনা: গুলি বর্ষণ, আটক ৩

0
466
blank
blank

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সরকারি জলাশয়ে মাছ ধরা নিয়ে দুই পক্ষে লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় উত্তেজনার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসি। তবে এ নিয়ে ৭ রাউন্ড গুলি বর্ষণ ও ৩ জন আটক হলেও কোন বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিন আগে জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের খাশিলা গ্রামের একটি সরকারি জলাশয়ে মাছ ধরা নিয়ে প্রথমে গ্রামের গফুর মিয়া ও আংগুর মিয়ার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আংগুর মিয়া পক্ষের আংগুর মিয়া, আশিক মিয়া, শাহনুর মিয়া ও এক নারীসহ ৫ জন আহত হন। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামের গফুর মিয়ার পক্ষে যুবলীগ নেতা দুদু মিয়া ও আংগুর মিয়ার পক্ষে যুবদল নেতা সিপন মিয়া অবস্থান নেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয় আধিপত্য বিস্তারের লড়াই। এর মধ্যে গত রোববার রাতে সিপন পক্ষের লোকজনের হামলায় দুদু পক্ষের কনা মিয়া আহত হন। আহতকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এরই জের ধরে গত সোমবার রাত ১২ টার দিকে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে মুখোমুখি সংঘর্ষের আহবান জানিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় এক এক করে ৭ রাউন্ড বন্দুকের ফাঁকাগুলি বর্ষণ করা হলে গ্রামে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে প্রত্যক্ষর্শীরা জানান। তবে রাতের আধাঁরে হওয়ায় কোন পক্ষ  গুলি ছুড়েছে তা জানা যায়নি।

খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে সংঘর্ষের আহবান জানিয়ে আবারো ডাকাডাকি করলে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ সময় সিপন পক্ষের একই গ্রামের আলামিন, ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও গ্রামের মতিউর রহমান পাভেল ও রাসেল আহমদসহ ৩ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এর মধ্যে মতিউর রহমান পাভেল ও রাসেল আহমদ সিপনের বাড়ির অতিথি ছিল বলে জানা গেছে।

জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় থানায় উভয় পক্ষের মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে এক পক্ষের দায়ের করা মামলার ৩ জন এজাহার নামীয় আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলাগুলোর অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।