জগন্নাথপুরে নদী খননের মাটি অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ

0
457
blank
blank

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীতে প্রায় এক মাস ধরে ড্রেজার মেশিন দিয়ে খনন কাজ চলছে। নদী থেকে উত্তোলনকৃত বালি মাটি অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহলের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ প্রকৌটল আশুগঞ্জ-জকিগঞ্জ রোড প্রকল্পের অধীনে জামিল ইকবাল লিমিটেড ও ন্যাশনাল লিমিটেড নামের দুইটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রায় এক মাস ধরে জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদীতে খনন কাজ করছে। অভিযোগ উঠেছে, এসব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন নদী থেকে উত্তোলনকৃত মাটি অবৈধভাবে একটি সিন্ডিকেটের নিকট বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সেই সাথে সিন্ডিকেটের লোকজন এসব স্তুপ করা মাটি অন্যত্র বিক্রি করে রমরমা বাণিজ্য করছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নদী পাড়ের বাড়ির লোকজন।
এ ব্যাপারে কাচা মিয়া নামের এক ব্যক্তি জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সরজমিনে দেখা যায়, কুশিয়ারা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে উত্তোলনকৃত বালি মাটি নদীর পাড়ে না রেখে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার ফুট দুরত্বে জমিতে ভরাট করা হচ্ছে। এ সময় আব্দুল আজিজসহ স্থানীয়রা জানান, নদী খননের মাটি নদী পাড়ে রাখা হলে, নদী পাড়ের বাড়ির লোকজন উপকৃত হতেন। সেই সাথে খনন কাজে ব্যয় ও কম হতো। তা না করে অতিরিক্ত খরছ করে দুরত্বে সিন্ডিকেটের লোকদের ভাড়া করা জমিতে মাটি রাখা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, জগন্নাথপুর-ইনাতগঞ্জ সড়ক ভেঙে নদী খননের পাইপ লাইন নেয়া হয়েছে। আর এখান থেকে সিন্ডিকেটের লোকজন অবৈধভাবে অন্যত্র মাটি বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জামিল ইকবাল লিমিটেড এর ম্যানেজার খায়রুল ইসলাম মিঠু ও ন্যাশনাল লিমিটেড এর ম্যানেজার মোশারফ হোসেন মাটি বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা শুধু বিআইডব্লিউটিএ এর ইঞ্জিনিয়ারের দেখানো জায়গায় মাটি ফেলে থাকি। এরপর এসব মাটি কে নেয় এবং কোথায় যায়, তা আমাদের জানার বিষয় নয়। এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ এর ইঞ্জিনিয়ার সবুজ হোসেন জানান, আমি গত এক মাস ধরে এ সাইটে নেই। বর্তমানে মিঠামইন সাইটে কাজ করছি। আমি দায়িত্বে থাকাকালে দুইজনের কাছে বৈধভাবে মাটি বিক্রি করেছি। বর্তমানে কি হচ্ছে, তা আমার জানা নেই।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।