জগন্নাথপুরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে আহত ৩

0
475
blank
blank

রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর সামরিক অভিযান বন্ধ করতে এবং তাদেরকে পূর্ণ নাগরিকত্ব প্রদান করার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘের একটি বিশেষ কমিটি।

‘থার্ড কমিটি’ নামে পরিচিত সাধারণ পরিষদের মানবাধিকারবিষয়ক এই কমিটির প্রস্তাবের পক্ষে ১৩৫টি ভোট পড়ে, বিরুদ্ধে পড়ে ১০টি, বিরত থাকে ২৬ সদস্য। এই খসড়া প্রস্তাবে মিয়ানমার বিষয়ে একজন বিশেষ দূত নিয়োগ করার জন্য জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতারেসের প্রতিও আহ্বান জানায়।

১৫ বছর ধরে প্রতিবছর থার্ড কমিটি মিয়ানমারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করে আসছিল। তবে আন সান সু চির নেতৃত্বে অগ্রগতি হচ্ছে উল্লেখ করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন গত বছর প্রস্তাবটি সামনে আনেনি।

এই প্রেক্ষাপটে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) জাতিসঙ্ঘে নতুন প্রস্তাব উত্থাপন করে। এখন আগামী মাসে ১৯৩ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদ প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করবে। এই প্রস্তাবের ফলে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াবে, তবে এর কোনো আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী সোমবার নিরাপত্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। এর কয়েক দিন আগে রাখাইন রাজ্যে সামরিক অভিযান পরিচালনাকরী জেনারেলকে বদলি করা হয়।
শীর্ষ জাতিসঙ্ঘ কর্মকর্তারা এই অভিযানকে জাতি নির্মূলের ক্লাসিক উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
মিয়ানমার সরকার জাতি নির্মূল অভিযানের কথা অস্বীকার করেছে।

এর আগে ২০১৬ সালের অক্টোবরের আরো ছোট আকারের সামরিক অভিযানের সময়কার মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জাতিসঙ্ঘ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। কিন্তু মিয়ানমার সরকার ওই কমিটিকে মিয়ানমারে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।
বৃহস্পতিবার থার্ড কমিটির খসড়া প্রস্তাবে তদন্তের অনুমতি দেয়ার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানায়। এতে মানবিক সহায়তা পূর্ণাঙ্গ ও বাধাহীনভাবে প্রবেশের সুযোগ এবং রোহিঙ্গাদের পূর্ণাঙ্গ নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিচ্ছে না। বৌদ্ধদের অনেকে তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী মনে করে।
জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ গত সপ্তাহে রাখাইন রাজ্যে আর কোনো বাড়াবাড়ি রকমের সামরিক শক্তি প্রয়োগ না করা নিশ্চিত করার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়। এতে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য গুতারেসের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়।