জগন্নাথপুরে প্রবাসীর খামার বাড়ি দখল নিয়ে উত্তেজনা

0
545
blank
blank

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এক যুক্তরাজ্য প্রবাসীর খামার বাড়ি জবর দখল নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরণের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
জানাগেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলি ইউনিয়নের আসামপুর গ্রামে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আতিকুর রহমানের একটি খামার বাড়ি রয়েছে। ১৯৮০ সালে তাঁর পিতা হাজী ছমরু মিয়া গ্রামের ঐছত উল্লাহ ও ইছবর উল্লাহ নামের দুই মালিকের কাছ থেকে এ বাড়ি খরিদ করেন। পরে বাড়িতে একটি টিনসেডের পাকাঘর বানিয়ে গরুর খামার করা হয়। খামারের গরু চুরি রুখতে বাড়ির বিভিন্ন স্থানে বসানো হয় সিসি ক্যামেরা। এরপর বাড়ির মালিক আতিকুর রহমান আবার যুক্তরাজ্যে ফিরে যান। তখন বাড়িটি তালাবদ্ধ থাকে। এ সুযোগে একই গ্রামের ফরিদ মিয়া নামের এক ব্যক্তি ঘরের তালা ভেঙে বাড়ি দখল করে সপরিবারে বসবাস করেন। খবর পেয়ে প্রবাসী আতিকুর রহমান গত কয়েক দিন আগে দেশে আসেন। দেশে ফিরে গত ২৭ জুলাই প্রবাসী আতিকুর রহমান বাদী হয়ে ফরিদ মিয়াসহ প্রতিপক্ষের ৫ জনকে আসামি করে জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থানা পুলিশ ফরিদ মিয়াকে গ্রেফতার করে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করে। তবে গত শনিবার ফরিদ মিয়ার লোকজনকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন প্রবাসী আতিকুর রহমান। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার এসআই অঞ্জন সরকারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আবারো ফরিদ মিয়ার লোকজনকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেন।
সোমবার সরজমিনে ছোবা মিয়া, ইনজাদ মিয়াসহ স্থানীয় একাধিক শালিসি ব্যক্তিরা বলেন, এ খামার বাড়ির প্রকৃত মালিক প্রবাসী আতিকুর রহমান। এখানে ফরিদ মিয়ার কোন সম্পত্তি নেই। প্রবাসী দেশে না থাকার সুযোগে ফরিদ মিয়া প্রবাসীর বাড়ি জবর দখল করেছে। তারা আরো বলেন, ফরিদ মিয়া একজন গরীব মানুষ। তার নুন আনতে পান্তা ফুরায়। সে কিভাবে পাকা বাড়ি বানাতে ও সিসি ক্যামেরা বসাতে পারে। এতেই প্রমাণিত হয় বাড়িটি প্রবাসীর। এছাড়া ফরিদের চাচাতো ভাই মোহন গংরা আবারক উল্লাহ নামের এক ব্যক্তির কাছে পূর্বে জায়গা বিক্রি করলেও এখনো রেজিস্ট্রি করে দিচ্ছে না। এসব ঘটনায় গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানতে চাইলে ফরিদ মিয়ার স্ত্রী আমিনা বেগম বলেন, বাড়ি কার আমি জানিনা। তবে বাড়িতে আমরা থাকি।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার এসআই অঞ্জন সরকার বলেন, তারা উভয়ই বাড়ির মালিক দাবি করছে। তবে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।